শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরী: মিলন বাগমারার মানুষের সেবক হতে চাই:বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়া বাঘায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা বাকশিস-মোহনপুর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সফিকুল হক মিলনের মতবিনিময় সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতারক চক্রের হুমকি, সাংবাদিককে হত্যা ও মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা নির্বাচন নিয়ে নীরব আসিফ নজরুল রাজশাহীতে ফরিদপুরে বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন মাগুরায় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে জেলা পরিষদের চেক বিতরণ মাগুরার শ্রীপুরে নাকোল সম্মিলনী ডিগ্রী কলেজের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত রাজশাহী বিভাগীয় ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) সাপ্তাহিক মিটিং অনুষ্ঠিত মহম্মদপুরে বিএনপি কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করলেন সাবেক মন্ত্রী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী নামাজে আসে না সভাপতি-সেক্রেটারি, সালাম না দেওয়ায় ইমামকে চাকরিচ্যুত ঠাকুরগাঁওয়ে একই স্কুলে ১১ ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কলেজ শিক্ষার্থী ইয়ামিনের মৃত্যু, বাঘায় জানাজায় হাজারো মানুষের শোক পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলে বিভিন্ন বাহিনীর সক্রিয়তায় বাড়ছে শঙ্কা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে তারা জাতির শত্রু দেশের শত্রু বললেন,– আসাদুল হাবিব লালমনিরহাটে দলিল লেখকের হাতে মার পিটে জখম জমি ক্রেতা থানায় অভিযোগ বাঘায় ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৫ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত তিস্তা ব্যারেজ থেকে ধরা দিল মহিমান্বিত কাঞ্চনজঙ্ঘা *শীতের বার্তায় দর্শনার্থীদের ঢল*
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়

মাগুরার কথা ডেক্স / ৩৩৭ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়।

 

কুঁড়েঘরের বারান্দার মাটির মেঝেতে বসে কান্না লুকানোর চেষ্টা করেও পারলেন না। কালো রোদচশমার ফাঁক গলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কোলে। কখনো বাড়ির দিঘিরপাড়ে, কখনো পৈতৃক ভিটায় বসে এভাবেই নীরবে চোখের জল ফেললেন। পরে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের পানি বোতলে ভরে নিয়ে গেলেন।

ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতাকে এভাবে দেখে অবাক হয়েছেন চেচরীরামপুর গ্রামের মানুষ। যাঁরা নচিকেতার গান শুনেছেন কিংবা তাঁর সম্পর্কে জানেন, তাঁরা নচিকেতার মাতৃভূমির প্রতি এমন টান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রিয় শিল্পীর কান্না দেখে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরও চোখে পানি ঝরেছে।

নচিকেতা চক্রবর্তীর জন্ম কলকাতায়। পূর্বপুরুষের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে। ২০১৪সালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন তিনি। সেদিন দুপুরে আসেন চেচরীরামপুর গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন জানান, হেলিকপ্টারে করে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা শহরে আসেন নচিকেতা। স্থানীয় বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামার পর ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আতিকুর ইসলাম, থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর দাস তাঁকে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের একটি স্মরণিকা উপহার দেন।

শংকর দাস বলেন, নচিকেতার দাদু (মায়ের বাবা) ললিত মোহন গাঙ্গুলী বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি এ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। দাদুর স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যালয়ে এসে প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী আবেগে শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন।

বিদ্যালয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সড়কপথে যান ভান্ডারিয়া শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কাঁঠালিয়ার চেচরীরামপুর গ্রামে। সেখানে ললিত মোহন গাঙ্গুলীর বাড়ির পাশেই জমি কিনে বসবাস করতেন নচিকেতার বাপ-দাদার পরিবার। সেখান থেকেই বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী ১৯৪৫ সালে সপরিবারে ভারত চলে যান।

গ্রামের লোকজন জানান, নচিকেতা প্রথমে গিয়েই বসেন বাড়ির দিঘিরপাড়ে। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন উৎসুক লোকজন। দিঘির জলের দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। এরপর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন তাঁদের ভিটায় এখন আনোয়ার সিকদার নামের এক ব্যক্তি ঘর তুলে বসবাস করছেন। একজন দেখিয়ে দেন তাঁর পৈতৃক ভিটা। সেখানে আনোয়ারের কুঁড়েঘরের বারান্দায় মাটিতে বসে পড়েন তিনি। এ সময় আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সবার সামনেই কেঁদে ফেলেন।

নচিকেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৪৫ সালে আমার বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী সপরিবারে ভারতে চলে যান। কলকাতায় আমার জন্ম। এখানে এসেছি নাড়ির টানে। অনেক দিন ধরে এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি। সময় পেলে আবার গ্রামে আসব।’ উপস্থিত গ্রামবাসীকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা আমার আপনজন।’


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!