উস্কানিমূলক কথার প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল কর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে দুই চিংড়ি ঘের কর্মচারীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় রমজাননগর ইউনিয়নের ট্যাংরাখালি স্লুইচ গেট সংলগ্ন এলাকায়। আহতদের শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমজাদ হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যায় চিংড়ি ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য তার ছেলে ফজলু কে নিয়ে যাওয়ার পথে ট্যাংরাখালি স্লুইচ গেটের পাশে কালিন্চী গ্রামের আব্দুল মাজেদের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মেহেদি হাসান বাবু তাদের গতি রোধ করে দাঁড়ায়। এ সময় বাবু তাদেরকে লক্ষ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এ সময় তার ছেলে ফজলু প্রতিবাদ করায় বাবু ও তার দলবল তাদেরকে বেপরোয়া মারপিট শুরু করে। তাদের হামলায় পিতা পুত্র গুরুতর আহত হন।
হামলাকারীদের আঘাতে ফজলুর বুকের বাম পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে পিতা আমজাদ হোসেন আহত অবস্থায় এগিয়ে আসলে কালিন্চী গ্রামের নুরো ভাঙ্গীর পুত্র আলম ভাঙ্গী, মোহাম্মদ আলীর পুত্র কেরামত আলী, সফেদ আলীর পুত্র আব্দুল মাজেদ, রুহুল আমিনের পুত্র হাবিবুর রহমান জগলু, মোকসেদ আলীর পুত্র সিরাজ, আহমদ আলীর পুত্র কালাম, করিমের পুত্র আলামিন তার ওপর একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল-ঘুষি আর লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে ট্যাংরাখালি গ্রামে তার আত্মীয় স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় তার স্বজনরা তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে।
আহত আমজাদ হোসেন আরো বলেন,সে ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামের হাজী সাহাবুদ্দিন বাবুর একতা ফিস নামীয় চিংড়ি ঘেরে কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত আছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর কালিন্চী গ্রামের একদল দুর্বৃত্ত শাহাবুদ্দিন বাবুর চিংড়ি ঘেরের পাকা কল ভাঙচুর ও চিংড়িঘের লুটপাট করে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় হামলাকারীরা সকলেই আসামি। এ ঘটনার পর থেকে সংঘবদ্ধ চক্রটি আমাকে নানানভাবে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। এই ঘটনার জের ধরেই তাদেরকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান,আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ওই এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সংঘর্ষে মেহেদি হাসান বাবুকে নাকি পেটানো হয়েছে। চিংড়ি ঘের নিয়ে আমরা একটি সমাধানের পথে রয়েছি। এ সময়ে মারামারির ঘটনাটি দুঃখজনক।
শ্যামনগর থানা পুলিশের রমজাননগর পুলিশিং বিট অফিসার এসআই হাবিব জানান,তিনি শ্যামনগর হাসপাতালে আহতদের দেখে এসেছেন। তিনি বিষয়টি শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবহিত করবেন।