নদীর মতো বড় একটি খাল কীভাবে দিনে দিনে তার অস্তিত্ব হারিয়ে যাচ্ছে, এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন বয়ে যাওয়া কাটা খালির খাল।বাঁশতলা বাজার থেকে খালটি গোবিন্দ কাঠি সুইচগেট হতে কাঁকশিয়ালি নদীতে গিয়ে মিশেছে। বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন কাটা খালি খালের দুই সাইড দিয়ে ইচ্ছামত দখল করে নিয়েছে দুই ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা।এতে করে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি সরু ড্রেন এ পরিণত হয়েছে এর ফলে পানিপ্রবাহ কমে যাচ্ছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিলের মৎস্য ঘেরের পানির ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।স্থানীয় সূত্রে জানা বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন কাটা খালির খালটি গোবিন্দ কাটি কাঁকশিয়ালী নদীতে গিয়ে মিশে গেছে।খালটি উপজেলার বিষ্ণুপুর বেড়াখালি ফতেপুর সোনাতলা শ্রীপুরসহ অনেক গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে।স্থানীয় লোকজনের মাছের চাহিদা পূরণ হয় এ খাল থেকে এখন সে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশতলা বাজারের সড়ক সংলগ্ন খালের জায়গা দখল করে দোকানঘর ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আবার কেউ কেউ দখল করে বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। দখলের কারণে খালটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে নব্যতা হারাচ্ছে।বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি খালে নামতে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।এ ছাড়া বাঁশতলা বাজারের ময়লা-আবর্জনা প্রতিনিয়ত এই খালে ফেলার কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। তাই খালটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।