বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবর্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উৎকৃষ্ট জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল, চিকন জাতের ‘বঙ্গবন্ধু ব্রিধান- ১০০’ জাতের ধান প্রথম আবাদেই কেশবপুরের চাষীরা আশার আলো দেখছে।
নতুন এ জাতের ধান অন্যান্য ধানের তুলনায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন রোধাকারী। উচ্চ ফলনশীল এই ধান মূলত বোরো মওসুমের। এধানের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৭ টন। তবে অনুকুল পরিবেশ ও উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টর প্রতি ৮ মেট্রিক টন পর্যন্ত্ম ফলন হতে পারে বলে কৃষি কর্মকর্তরা দাবি করেছে।সরকারি তথ্য অনুযায়ী,গড়ে দেশে প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু জিংকের অভাবজনিত নানা রোগে ভোগে।সাধারণত জিংকের অভাবে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ÿমতা কমে যায়।এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবর্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) বিজ্ঞানীদের এজাতের ধান উদ্ভাবন নতুন মাইল ফলক। ইতোপূর্বে গবেষকরা বিভিন্ন সময়ে ব্রিধান- ৬২, ব্রিধান- ৬৪, ব্রিধান- ৭২ ব্রিধান- ৭৪, ব্রিধান- ৮৪ ও সর্বশেষ ‘বঙ্গবন্ধু ব্রিধান- ১০০’ এ ৬টি জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এরমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ব্রিধান- ১০০’ জাতটি উৎকৃষ্টমানের,ফলনও বেশী।মান ও উৎপাদনের দিক দিয়ে ভালো হওয়ায় এটি চলতি বোরো মওসুমে সারা দেশের ন্যায় কেশবপুরেও পরীÿামূলক আবাদ হয়েছে।বায়সা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,প্রথম বার চাষেই সাফল্য দেখছেন চাষীরা।ধানের শীষও ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলন আশা করছেন।তবে এধান একই সময়ে পাকে না বলে কৃষকদের ঘরে তুলতে সমস্যা হচ্ছে।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন,চলতি বোরো মৌসুমে এধানের আবাদ বৃদ্ধিতে পস্নট প্রদর্শনীতে কৃষকদের সার,বীজ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমনের পরিমান কম হওয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু ব্রিধান-১০০’ জাতের ধানের চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান,জিংক সমৃদ্ধ এই ধান মানবদেহে জিংকের অভাব পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পরীÿামূলকভাবে ১০০ হেক্টর জমিতে এধানের আবাদ করা হয়েছে। এধানে আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।ধানের চাল চিকন ও সাদা।জিংকের পরিমান প্রতি কেজীতে ২৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম।চালে অ্যামাইলোজ ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ, প্রোটিন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-ধান-১০০’ জাতের ধানের প্রদর্শনী পস্নট করা হয়েছে।