নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ আজ বুধবার সন্ধ্যায় হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।গবেষণার কাজে তিনি দীর্ঘ দেড় মাস শ্যামনগরে অবস্থান করছিলেন।
শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের চালিতাঘাটা গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি গবেষণার কাজ করতেন। সদ্যপ্রয়াত এ শিক্ষকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন তার ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিসর্গ নিলয়।সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ নিসর্গ নিলয়কে তার রুমে রেখে অন্য একটি রুমে চলে যান। এসময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্লোরে পড়ে জ্ঞান হারান ।পরবর্তীতে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ইমারজেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় জড়িয়ে পড়েন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। গবেষণার কাজের জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বেশ কিছুদিন ধরে অবস্থান করছিলেন তিনি।
করোনার কারণে কিছুটা দেরিতে এ বছরের জানুয়ারিতে গবেষণার স্থান নির্বাচন করতে এসেছিলেন তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে । সেই রাশীদ স্যার আজ শ্যামনগরে গবেষণারত অবস্থায় ল্যাপটপ নিয়ে ফ্লোরে পড়ে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী-দুটি শিশু সন্তান অসংখ্য গুনগ্রাহী এবং ছাত্র ছাত্রী রেখে গিয়েছেন। তিনি কমিউনিটি ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট বিষয় নিয়ে গবেষণারত ছিলেন।শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঐ শিক্ষকের মরদেহ গ্রহণ করেন তার ভায়রা যশোরের ব্যবসায়ী আতাউর রহমান হতভাগ্য ঐ শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর ফেনীতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার কারণে তিনি সপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করতেন।