ঝিনুক ডেস্ক-
ম্যাচ বাঁচাতে হলে আজ সারা দিন ব্যাট করতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সাগরিকার আকাশ বাংলাদেশের সেই পাহাড়সম কাজের চাপের ভাগ নিতে চলে এসেছে। চট্টগ্রামে সকাল থেকে হচ্ছে ঝুম বৃষ্টি।
গতকাল রাত থেকেই চট্টগ্রামের আকাশটা গোমড়ামুখে আছে। সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে, সকালেও বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ফলে, সাগরিকার আকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আফগান খেলোয়াড় আর কর্মকর্তাদের মুখও গোমড়া হচ্ছে আস্তে আস্তে। আর হবে নাই–বা কেন? আর মাত্র চারটা উইকেট নিয়ে নিলে যেখানে তারা ইতিহাসের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে যাবে, সহজ জয়ের পথে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের ভালো লাগবেই–বা কেন? এখনো পিচ ঢেকে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টির গতিক ও পিচের অবস্থা দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, হয়তো প্রথম সেশনটা সাজঘরেই কাটাতে হবে দুই দলকে। জয়ের আশায় সকাল সকাল আফগানিস্তান মাঠে চলে এলেও বৃষ্টি দেখে বাংলাদেশ দল হোটেল থেকে মাঠে এসেছে গদাই-লস্করি চালে। জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে এই টেস্ট কভার করতে আসা সাংবাদিকেরাও নির্ধারিত সময়ে মাঠে আসেননি, ধীরলয়ে এসেছেন। একই অবস্থা ধারাভাষ্যকারদেরও।
গতকাল সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, টেস্ট বাঁচানোর জন্য বৃষ্টির ওপরেও ভরসা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, ‘হারের খুব কাছাকাছি। বৃষ্টি আর স্বয়ং আল্লাহ যদি আমাদের (অপরাজিত) দুজনকে দিয়ে না খেলান, তাহলে হারার সম্ভাবনা খুবই বেশি।’শেষ পর্যন্ত অধিনায়কের মনের সুপ্ত বাসনাই হয়তো পূরণ করতে যাচ্ছে সাগরিকার আকাশ!