শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ভাবন পাড়া গ্রামে সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম’- বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী রাজশাহীতে ৯ দিনব্যাপী বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় বিএনপি’র ইউনিয়ন সভাপতি কারাগারে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সমাপ্ত হলো এবারের কাত্যায়নী পূজা রাজশাহীতে উদীচীর ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন মাগুরার মহম্মদপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাজশাহীর তিনজন খ্যাতিমান চিকিৎসক বাঘায় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন লগি বৈঠার তাণ্ডবে নৃশংস হত্যাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে: জামায়াতের সমাবেশে বক্তারা মোহনপুরে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ লালমনিরহাটে বউ –শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার ও গাছ বিতরণ সংস্কারের বিপক্ষে বা ইতিহাসে দায়ভার রয়েছে এমন দলের সাথে জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই: নাহিদ মোহনপুরে অনুমোদন ছাড়াই সেচ নলকূপ স্থাপনের চেষ্ঠা রাজশাহী নগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ রাজশাহীতে জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী ফাইজা গ্রেপ্তার ঐতিহ্য আর শৈল্পিক মহিমায় সেজে উঠছে মাগুরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজশাহী জেলা যুবদলের বিশাল শোভাযাত্রা লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন কে পূর্ণবহালের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম লালমনিরহাটে প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন ২ সন্তানের জননী
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

মসজিদের সঙ্গে আত্মার বন্ধন হোক মজবুত

মাগুরার কথা ডেক্স / ৪২৮ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দনীয় স্থান মসজিদ। যে মুমিন নামাজের স্বাদ পেয়েছে তার কাছে মনে হবে যেন দুনিয়ার সব সুখ মসজিদের জায়নামাজের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এটিই তার কাছে সবচেয়ে বেশি শান্তির জায়গা, তাই মসজিদের প্রতি থাকে তার এক গভীর আকর্ষণ। সে যেখানেই থাকুক না কেন, তার হৃদয় থাকে মসজিদের সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ।তাই তো প্রতিদিন অন্তত পাঁচবার আজান শুনে ছুটে আসে মসজিদে, নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মসজিদগুলো আল্লাহর জন্য। সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে ডেকো না (সুরা জিন-১৮)। রসুল (সা.) বলেছেন, যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়াই থাকবে না, সেদিন সাত শ্রেণির লোককে তিনি তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন, যাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি (বুখারি)। নবীজি বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে পবিত্রতা অর্জন করে ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশে আল্লাহর ঘরের দিকে যায়, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং দ্বিতীয় পদক্ষেপে তার একটি মর্যাদা উন্নীত করা হয় (মুসলিম)। মুসলমান মাত্রই আজানের ধ্বনি শুনে আবেগাপ্লুত হবেন, আমোদিত হবেন, কারণ আজান হলো আল্লাহতায়ালার একত্ববাদ ও তাওহিদের মহান আওয়াজ। মসজিদের মিনার থেকে মুয়াজ্জিন দৈনিক পাঁচবার আজানের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। উচ্চ আওয়াজে প্রচারিত আল্লাহর একত্ববাদের এই ঘোষণার মাধ্যমে মূলত বান্দা মহান প্রভুর বশ্যতার ঘোষণা দেয়।অবনত চিত্তে স্বীকার করে আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনের গভীর থেকে নবী (সা.)-এর নবুওয়ত-রিসালাতের সাক্ষ্য দেয় পরম বিশ্বাসের সঙ্গে। সুতরাং এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জামাতে শামিল হওয়া ইমানের দাবি। অনেক জায়গায় দেখা যায়, আজান হয় কিন্তু কাতার পূর্ণ হয় না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ভালোভাবে অজু করলে পাপ মুছে যায়।

বেশি বেশি মসজিদে গেলে পাপ ঝরে পড়ে। এক সালাতের পর আরেক সালাতের জন্য অপেক্ষা করলেও পাপ ঝরে যায়। তা আল্লাহর পথে পাহারার সমতুল্য (মুসলিম)। আমাদের গুনাহর বোঝা হালকা করতে প্রভুর দরজার ফকির হতে হবে। নবীজি (সা.) বলেছেন, যারা অন্ধকারে মসজিদে যায়, কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা তাদের পেছনে পরিপূর্ণ আলোর ব্যবস্থা করবেন (আবু দাউদ)। হাকিম আল-মুসতাদরাকের ১/২১১ নং হাদিসে রসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়, তার সঙ্গে দুজন লেখক ফেরেশতা মসজিদের পথে প্রতিটি পদক্ষেপের বদলে তার জন্য ১০টি নেকি লেখেন। আর যে ব্যক্তি মসজিদের সালাতের অপেক্ষায় বসে আছে সে ইবাদতকারীর মতোই; সে বাড়িতে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তাকে মুসল্লি হিসেবে গণ্য করা হয়। কবি আল মাহমুদ ‘কালো চোখের কাসিদা’য় লেখেন- ‘তুমি কি শুনতে পাও অন্য এক মিনারের আজান?
কলবের ভিতর থেকে ডাক দেয়, নিদ্রা নয়, নিদ্রা নয়, প্রেম। ’
মুয়াজ্জিনের আজানের সঙ্গে বান্দার আত্মায় আরেক আজান ধ্বনিত হয়। অন্তরের কান থাকলেই কেবল সে আজানে সাড়া দিয়ে গভীর ঘুম, কনকনে শীত আর ঘরের মায়া ত্যাগ করে জামাতে শামিল হওয়া যায়। যাদের আত্মা সজাগ নেই তারাই কেবল আজানের মুগ্ধতা উপলব্ধি করতে পারে না। আজান শুনেও ঘর, পরিবার-পরিজন, ব্যস্ততার ওপর প্রভুর স্মরণকে স্থান দিতে পারে না। প্রিয় পাঠক। আত্মিক প্রশান্তি লাভ, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও ইমান আমলের উন্নত করতে মসজিদের সঙ্গে আত্মার বন্ধন মজবুত করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।

লেখক : মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!