মাগুরার শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের সোনাতুন্দী বাজার থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সব্দালপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম (৪০) ও অলেঙ্কাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৫)।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে নিজেকে শ্রীপুর থানার ওসি পরিচয় দিয়ে একই অভিযোগের দুই পক্ষকে ফোন করে। এ সময় মিন্টুর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। অসহায় পরিবার বাধ্য হয়ে মিন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী সালেহা বেগম সোনাতুন্দী বাজারে নাজমুলের দোকান থেকে ৩ হাজার টাকা দেই। কিছু সময় পর অপরপক্ষের লিমনের নিকট ফোন করে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে লিমন বাধ্য হয়ে বউয়ের কানের দুল বন্ধক রেখে একই দোকান থেকে একই নাম্বারে ৫ হাজার টাকা দেই। পরে ভুক্তভোগী মিন্টু বিশ্বাস ওই এলাকার বিট অফিসার জাহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানাই। এ সময় বিট অফিসার জাহিদুল ইসলাম তাদের ২ জনকে আটক করেন।
এ বিষয়ে মিন্টুর স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, লিমন ও আমাদের মধ্যে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ ছিল। এ সুযোগে শ্রীপুর থানার ওসির নাম ভাঙিয়ে আমাদের নিকট টাকা দাবি করে কাশেম ও আলমগীর। পরে বাধ্য হয়ে টাকা ধার করে ওই নাম্বারে টাকা পাঠাই। পরে জানতে পারি এটা ওসির ফোন ছিল না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে দোকানদার নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যবসায়ী যে কেউ টাকা দিলে আমি দিতে বাধ্য। মিন্টুর স্ত্রী সালেহা বেগম টাকা পাঠাতে আসে। টাকা পাঠানোর আগে ৬ থেকে ৭ বার ফোন করি। আমার ফোন ধরে না। পরে কাস্টমারের কথা মত টাকাটা পাঠাই। কিছু সময় পর ওই একই নাম্বারে লিমন টাকা পাঠাতে আসলে আমার সন্দেহ হয়। পরে বাধ্য হয়ে লিমনের কথা মত আমি টাকা পাঠাই। আমার বিকাশ নাম্বার থেকে ওই নাম্বারে ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাব্বারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। সকালে তাদের ২ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র সাংবাদিক মুসাফির নজরুল