মাঙ্কিপক্সের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম।
রোববার (২২ মে) গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে সন্দেহভাজন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক জানান, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ রোধে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টিসহ স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে সকল বিভাগ সতর্ক রয়েছে, সন্দেহভাজন কোনো রোগী পাওয়া গেলে সাথে সাথে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হবে।
গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের বিষয়ে স্বাস্থ্য কার্ড পূরণ করেন যাত্রীরা। মাঙ্কিপক্স শনাক্তের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের স্বাস্থ্য কার্ড পূরণের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এর আগে ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ রোধে বিশেষ সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলামের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মাঙ্কিপক্স নতুন রোগ নয়, এ রোগকে পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলোতে অ্যান্ডেমিক হিসেবে ধরা হয়। আগে শুধুমাত্র পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকান দেশগুলোতে ভ্রমণকারী বা বাসিন্দাদের মধ্যে শনাক্ত করা হলেও সম্প্রতি ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মাঝে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীকে নিকটস্থ সরকারি সাহপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআরে তাদের তথ্য পাঠাতে হবে।
এই নির্দেশনার আলোকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ এ দায়িত্ব পালন করছে।