রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : রায়হান হারানো গিয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি আরইউজের রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা- সভাপতি মামুন, সম্পাদক রিটন মহম্মদপুরে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ভাবন পাড়া গ্রামে সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম’- বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী রাজশাহীতে ৯ দিনব্যাপী বিভাগীয় বইমেলার উদ্বোধন এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় বিএনপি’র ইউনিয়ন সভাপতি কারাগারে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সমাপ্ত হলো এবারের কাত্যায়নী পূজা রাজশাহীতে উদীচীর ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন মাগুরার মহম্মদপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাজশাহীর তিনজন খ্যাতিমান চিকিৎসক বাঘায় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন লগি বৈঠার তাণ্ডবে নৃশংস হত্যাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে: জামায়াতের সমাবেশে বক্তারা মোহনপুরে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ লালমনিরহাটে বউ –শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার ও গাছ বিতরণ সংস্কারের বিপক্ষে বা ইতিহাসে দায়ভার রয়েছে এমন দলের সাথে জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই: নাহিদ মোহনপুরে অনুমোদন ছাড়াই সেচ নলকূপ স্থাপনের চেষ্ঠা রাজশাহী নগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

শবে বরাতে কী আমল করব

মনিরুজ্জামান জুলেট : / ১২৩৫ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১, ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

শাবান মাস হলো বিশেষ মর্যাদাবান। মোবারক মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে এ মাসটি। রমজানের প্রস্তুতির জন্য এ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল (সা.) এ মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করতেন। অন্যান্য মাসের চেয়ে এ মাসে নফল রোজা বেশি রাখতেন। হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রা.) বলেছেন- ‘আমি রাসূল (সা.)-কে রমজান ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ এক মাস রোজা রাখতে দেখিনি। কিন্তু তিনি শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রেখেছেন।’ (সহি মুসলিম)।

এ মাসের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (সা.) বলেছেন- ‘রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান হলো উম্মতের মাস। রাসূল (সা.) রজব, শাবান মাসের অত্যধিক গুরুত্ব ও তাৎপর্যের প্রতি লক্ষ রেখে ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রাজাবা ওয়া শা’বান, ওয়া বাল্লিগনা রামাদান’-এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন এবং উম্মতকে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। যার অর্থ হচ্ছে- ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে রজব ও শাবানের সকল বরকত দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ এ মাসে রয়েছে বিশেষ ফজিলতময় শবে বরাত।

বিভিন্ন হাদিসে শবে বরাতের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হযরত আয়শা (রা.) বর্ণনা করেন- কোনো এক শাবানের অর্ধরাতে রাসূল (সা.)-কে বিছানায় পাওয়া যাচ্ছিল না। খুঁজে দেখা গেল তিনি জান্নাতুল বাকীতে কবর জিয়ারত করছেন। (সহি মুসলিম)।

আরেক হাদিসে হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন অর্ধ শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে ইবাদত করো এবং পরের দিনটিতে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোনো রিজিক প্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দান করব। কোনো বিপদগ্রস্ত আছে কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করব। আর সুবহে সাদিক পর্যন্ত এ ডাক অব্যাহত থাকে। (ইবনে মাজাহ)।

কেউ কেউ শবে বরাত সম্পর্কিত কিছু হাদিসকে দুর্বল বলে একেবারেই অস্বীকার করে ফেলেন। এটা মোটেই উচিত হবে না। কারণ, একই বিষয়ে একাধিক হাদিস বর্ণিত হলে এর গ্রহণযোগ্যতায় আর কোনো প্রশ্ন থাকে না। ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনায় শবে বরাতের বরকত ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ঢালাওভাবে সবগুলো হাদিসকে দুর্বল বলে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া হাদিস শাস্ত্রের মূলনীতি অনুযায়ী ফজিলতের হাদিসগুলো দুর্বল হলেও পালনযোগ্য।

মুসলিম উম্মাহর তিনটি স্বর্ণোজ্জ্বল যুগ তথা সাহাবা, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের যুগেও এ রাতের ফজিলত থেকে উপকৃত হওয়ার বিশেষ গতি ও গুরুত্ব ছিল। সেই যুগের মানুষেরাও এই রাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এ রাতটি বিশেষ ফজিলতময় ও গুরুত্ববহ। তাই এ রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকা ও ইবাদত করা সওয়াবের অছিলা হিসেবে গণ্য হবে নিঃসন্দেহে।

শবে বরাত বিশেষ ফজিলতময় হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হন। নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ পাঠ, জিকির-আজকার, তাওবা-ইস্তেগফার করে নিজেদের পাপ-পঙ্কিলতা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

অধিক নফল নামাজ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, তাসবিহ পড়া, দোয়া করা; এসব ইবাদত এই রাতে করা যায়। কোনো কোনো হাদিসের আলোকে শাবান মাসের পনেরো তারিখ অর্থাৎ, বরাত রজনীর পরের দিন নফল রোজা রাখা অনেক সওয়াবের কাজ।

এই রাতে আরেকটি বিশেষ আমল রয়েছে, যা একটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তা হলো, রাসূল (সা.) এই রাতে একবার জান্নাতুল বাকীতে গিয়েছিলেন। যেহেতু রাসূল (সা.) জান্নাতুল বাকীতে গিয়েছিলেন এই রাতে, তাই মুসলমানরাও এই রাতে কবরস্থানে যাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। নবী (সা.) থেকে যে কাজটি যেভাবে এবং যে স্তরে প্রমাণিত, সেটাকে সে স্তরে রাখাই বাঞ্ছনীয়। সেই সীমারেখা অতিক্রম করা কিছুতেই উচিত নয়। এই রাতের বিশেষ কোনো ইবাদত ও ইবাদতের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। নেই নামাজের কোনো নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা, নেই ভিন্ন কোনো পদ্ধতি। এই রাতে যেসব ইবাদত করা হবে সবই নফল ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। আর নফল ইবাদত নীরবে আপন আপন ঘরে একাগ্রচিত্তে করা উত্তম।

তাই মৃত আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিম উম্মার জন্য ঘরে বসেই দোয়া করা উত্তম হবে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীতে আবারো করোনা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। এবারের শবে বরাতে আমাদের আল্লাহর কাছে চাওয়া হোক, আল্লাহ যেন সবাইকে করোনা নামক এই মহামারি থেকে রক্ষা করেন। আমীন!

জি এম, আকবর কবীর ‌ফেজবুক থেকে সংগৃহীত:


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!