ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলেছেন শেখ রাসেল। ল্যাবরেটরি স্কুল জুড়েই ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা। এই স্কুলের শ্রেণিকক্ষে বসে শিক্ষকদের কাছে পাঠ নিয়েছেন ১৯৭৫ সালের চৌদ্দই আগস্ট পর্যন্ত। তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে ল্যাবরেটরি স্কুলের মাঠে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেলের ম্যুরাল।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) প্রিয় ছোট ভাইয়ের ৫৬ তম জন্মবার্ষিকীতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত হয়ে শেখ রাসেলের ম্যুরাল ও ‘শহিদ শেখ রাসেল ভবন’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার আগে পর্যন্ত শিশুদের ঘরে বসে পড়াশোনা ও খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও শিশুদের পরামর্শ দেন তিনি। ঘরে বসে পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরচর্চা ও শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অভিভাবকদের তদারক করতেও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স থেকে শিশুরাও যুক্ত হয় ভিডিও কনফারেন্সে। এসময় দেখানো হয় এনিমেটেড মুভি। পরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ভিডিওচিত্রে তাদের কার্যক্রম দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার ও শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয় ল্যাপটপ।
অনুষ্ঠানে রাসেলকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বড় বোন শেখ হাসিনা। ১৯৬৪ সালের এই দিনে জন্ম নেয়া শেখ রাসেলের জীবন কুঁড়িতেই ঝরে যায় বলে আক্ষেপ বড় বোনের। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে শিশুদের উৎসাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসে পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অভিভাবক দের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
আয়োজনের শুরুতেই শহিদ শেখ রাসেল- এনিমেটেড ডকুমেন্টরি ‘বুবুর দেশ’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ রাসেল এর জীবনীর উপর প্রকাশিত বই ‘শেখ রাসেল আমাদের আবেগ, আমাদের ভালবাসা’ এর মোড়ক উন্মোচন ও ছবি প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।