রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মহম্মদপুরে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আলোচনা অনুষ্ঠিত বছরের পর বছর পদোন্নতি বঞ্চনায় ক্ষোভ: লালমনিরহাটে প্রভাষকদের ‘No Promotion, No Work’ কর্মসূচিতে উত্তাল শিক্ষা ক্যাডার রাজশাহীতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত চিকিৎসায় আস্থা ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ‘লাইফ সাইন হাসপাতাল’-এর শুভ উদ্বোধন জামায়াতের কাছে ধানের শীষকে পরাজয় করতে দিতে চাইনা : টিপু মাগুরায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে উত্তর হামছাদীতে পস্ততি সভা তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আশঙ্কা মুক্ত সিসিইউ তে পর্যবেক্ষণে আছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি মাগুরা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ ২০২৫ অনুষ্ঠিত ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া প্লেয়ার হান্ট ও প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন: পাবনায় আইডিইবি’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী নাজমুল হকের ১৫ শত মোটরসাইকেল শো ডাউনে জনস্রোত মাগুরায় সমাজের নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনী অগ্রাধিকার বিষয়ক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁয় বিভাগীয় ইলেকট্রিশিয়ানদের আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন টেন্ডারবাজ ও চাঁদাবাজ বন্ধ করতে হলে ইসলামী দলগুলো ক্ষমতা আসতে হবে বাঘায় বাপার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাগুরায় জামায়াতে ইসলামী’র পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নারীর প্রতি সহিংসতা ও শারীরিক নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন বাংলাদেশ আমজনগন পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটির আলোচনা সভা আনুষ্ঠিত ফরিদপুর ইমাম উদ্দিন চত্বর
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

সাতক্ষীরার গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুক্তিযোদ্ধারা সোনার বাংলাদেশ দেখতে চান

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ / ৮১৮ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী।১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামে সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে প্রথম বিজয় সূচিত হয় ।১৯ নভেম্বর,১৯৭১ সাতক্ষীরার শ্যামনগর প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এরপর সাতক্ষীরার বিভিন্ন জনপদ মুক্ত হতে শুরু করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার সর্বস্তরের মানুষের ভূমিকা জেলার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়।

স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র যুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে কয়েকটি সেক্টরে দেশকে ভাগ করা হয়েছিল। তারমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছিল ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীন। পরবর্তীতে গড়ে ওঠা ৯ম আর ৮ম সেক্টরের সাতক্ষীরার ভোমরা ছিল প্রথম ক্যাম্প। এখানেই সূচনালগ্ন থেকে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় জনসাধারণ আর তৎকালীন ই.পি.আর ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সে সময় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে সাতক্ষীরায় যাদের নাম উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে আব্দুল গফুর এম এন এ, ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টার, মমতাজউদ্দিন এম পি, কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ, স ম আলাউদ্দিন, এ এফ এম এন্তাজ আলী, সৈয়দ কামাল বখত সাকী এমপি, শ্যামনগরের একে ফজলুল হক এমপি, কালিগঞ্জের শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, বাবর আলী, শেখ আতিয়ার রহমান, বরিশালের নুরুল ইসলাম মন্জু, লুৎফর রহমান, আব্দুল মজিদ, কাজী কামাল ছট্টু, মীর এশরাক আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, আজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম খান, খায়রুল বাশার, এনামুল হকের নাম উল্লেখযোগ্য ।১৯৭১এর এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে সুবেদার আব্দুল হাকিম আর তৎকালীন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী হাকিম খান এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা ট্রেজারি হতে অস্ত্রশস্ত্র লুট ও ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অলংকার ও টাকা-পয়সা লুট করা হয় মুক্তিযুদ্ধের খরচাদি বহনকল্পে। ২৯ এপ্রিল পাক বাহিনীর সাথে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয় ভোমরায়। দীর্ঘ ১৭ ঘন্টা উভয় পক্ষের গোলাগুলি বিনিময়ে পাক বাহিনী হারিয়েছিল তাদের কয়েকজন সেনাকে। আর দু’ দফার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল তিন বীর যোদ্ধা। পরবর্তীতে বৈকারী, ঘোনা, কুশখালি, টাউন শ্রীপুর, ভাতশালা, কাকডাঙ্গার যুদ্ধেও তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে সময় ৮ নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর মঞ্জুর আর ৯নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জলিল ও মেজর জয়নাল আবেদিন। এছাড়া নৌপথে যুদ্ধ পরিচালনা করেন জি এম রহমতুল্লা দাদু। সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধাদের অকৃত্রিম দেশত্ববোধ আর বীরোচিত যুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসাবে ১৯৭১ এর ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর শত্রুমুক্ত হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী শ্যামনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জি এম ওসমান গনি বলেন, সেদিন ছাত্র ছিলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে একটি লাল সবুজের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলাম। সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। দেখতে দেখতে ৫০ টি বছর পেরিয়ে গেল। জীবন সায়াহ্নে যেন দেখতে পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলাদেশ।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!