শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো নওগাঁর মান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন পঞ্চগড়ে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রংপুরে জেলা ও মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ রাজশাহীতে আরএমপিতে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের ২০১৮ ক ব্যাচের কনস্টেবলদের ব্রিফিং অনুষ্ঠান বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বাঘায় সংবাদ সম্মেলন রাবির আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩ কর্মকর্তাকে পুলিশে দিয়েছে ছাত্ররা বাঘায় জুলাই আহত-শহীদদের স্বরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আ.লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ নরসিংদী জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের মতবিনিময় রংপুরে পালিত হচ্ছে জুলাই শহীদ দিবস উত্তরের জনপদের যুগান্তকারী হরিপুর-চিলমারী সেতু চলতি মাসেই উদ্বোধন রাজশাহীর আদালত চত্বরে দুই কাজির হাতে নারী লাঞ্ছিত অটোরিকশা চালিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস জিপিএ- ৫ পাওয়া রোমান উচ্চশিক্ষা নিয়ে হতাশ “আগে সংস্কার পরে নির্বাচন—এই কথা আর শুনতে চাই না”: রাজশাহীতে ড. আব্দুল মঈন খান রাজশাহী পুলিশ লাইন্স স্কুলের এসএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানালেন পুলিশ কমিশনার মহোদয় রাজশাহী বিভাগের ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) সাপ্তাহিক মিটিং অনুষ্ঠিত জিপিএ-৫ অর্জনকারী কৌশিক কুমার সাহা প্রকৌশলী হয়ে দেশের সেবা করতে চাই মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দুটি পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন মামুন, নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

সাতক্ষীরার গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুক্তিযোদ্ধারা সোনার বাংলাদেশ দেখতে চান

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ / ৭১১ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

আকবর কবীর।।সাতক্ষীরাঃ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী।১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামে সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে প্রথম বিজয় সূচিত হয় ।১৯ নভেম্বর,১৯৭১ সাতক্ষীরার শ্যামনগর প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এরপর সাতক্ষীরার বিভিন্ন জনপদ মুক্ত হতে শুরু করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার সর্বস্তরের মানুষের ভূমিকা জেলার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়।

স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র যুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে কয়েকটি সেক্টরে দেশকে ভাগ করা হয়েছিল। তারমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা ছিল ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীন। পরবর্তীতে গড়ে ওঠা ৯ম আর ৮ম সেক্টরের সাতক্ষীরার ভোমরা ছিল প্রথম ক্যাম্প। এখানেই সূচনালগ্ন থেকে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় জনসাধারণ আর তৎকালীন ই.পি.আর ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সে সময় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে সাতক্ষীরায় যাদের নাম উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে আব্দুল গফুর এম এন এ, ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টার, মমতাজউদ্দিন এম পি, কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ, স ম আলাউদ্দিন, এ এফ এম এন্তাজ আলী, সৈয়দ কামাল বখত সাকী এমপি, শ্যামনগরের একে ফজলুল হক এমপি, কালিগঞ্জের শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, বাবর আলী, শেখ আতিয়ার রহমান, বরিশালের নুরুল ইসলাম মন্জু, লুৎফর রহমান, আব্দুল মজিদ, কাজী কামাল ছট্টু, মীর এশরাক আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, আজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম খান, খায়রুল বাশার, এনামুল হকের নাম উল্লেখযোগ্য ।১৯৭১এর এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে সুবেদার আব্দুল হাকিম আর তৎকালীন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী হাকিম খান এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা ট্রেজারি হতে অস্ত্রশস্ত্র লুট ও ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অলংকার ও টাকা-পয়সা লুট করা হয় মুক্তিযুদ্ধের খরচাদি বহনকল্পে। ২৯ এপ্রিল পাক বাহিনীর সাথে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয় ভোমরায়। দীর্ঘ ১৭ ঘন্টা উভয় পক্ষের গোলাগুলি বিনিময়ে পাক বাহিনী হারিয়েছিল তাদের কয়েকজন সেনাকে। আর দু’ দফার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল তিন বীর যোদ্ধা। পরবর্তীতে বৈকারী, ঘোনা, কুশখালি, টাউন শ্রীপুর, ভাতশালা, কাকডাঙ্গার যুদ্ধেও তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে সময় ৮ নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর মঞ্জুর আর ৯নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জলিল ও মেজর জয়নাল আবেদিন। এছাড়া নৌপথে যুদ্ধ পরিচালনা করেন জি এম রহমতুল্লা দাদু। সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধাদের অকৃত্রিম দেশত্ববোধ আর বীরোচিত যুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসাবে ১৯৭১ এর ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর শত্রুমুক্ত হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী শ্যামনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জি এম ওসমান গনি বলেন, সেদিন ছাত্র ছিলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে একটি লাল সবুজের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলাম। সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। দেখতে দেখতে ৫০ টি বছর পেরিয়ে গেল। জীবন সায়াহ্নে যেন দেখতে পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলাদেশ।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!