হেমন্ত এলো
ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইট
নিরুদ্দেশের পথে শরৎ হারালো
হেমন্ত এলো ঘরে
ফ্যাকাসে হলো কাশের বন
যৌবন গেল ঝরে।
ভোর বেলাতে মৃদু
কুয়াশা
বৈচিত্র্য বহন করে
দূর্বা ডগায় শিশির কণা
দ্যুতিতে মন ভরে।
হিমেল বায়ুর পরশে দেখি
কুয়াশা মোড়া ভোর
পূর্ব গগনে ঊষার আলোয়
কাটলো ঘুমের ঘোর।
দিগন্ত জোড়া ধানের চিত্র
কৃষকের মনের জোর
সজীব প্রকৃতির রূপ ঐশ্বর্যে
হৃদয় রেঙেছে মোর।
শিশির স্নাত প্রতিটি রাতে
শিহরণ জাগে মনে
পাখির গানে মুগ্ধ করে
কলরব চলে বনে।
পাতার ফাঁকে শিশির বিন্দু
মুক্তোর মতো জ্বলে
সোনালী আলোর উষ্ণ তাপে
ধীর গতিতে গলে।
কৃষাণীর মুখে অনাবিল হাসি
কষ্ট গেল কেটে
উঠোন ভরা ধানের রাশি
সময় যায় ঘেঁটে।
মাঠ ভরা সোনালী ধান
ইশারা দিয়ে ডাকে
শীঘ্র হবে নবান্ন আয়োজন
তারই চিত্র আঁকে।