ডেস্ক রিপোর্ট : দায়িত্বহীনতার আরেক নজির সৃষ্টি করল মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস। আজ ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৬ সালের সরবরাহকৃত পুরানো সাংবাদিক কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। তাও আবার ফটোকপি। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের স্থলে লেখা আছে জেলা পরিষদ নির্বাচন অথচ এটা উপ-নির্বাচন।
পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়ে জেলা জুড়ে সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সচেতন মহল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কতর্ব্যের অবহেলাকে দায়ী করেছেন। দেশের স্বনামধন্য পত্রিকার প্রতিনিধিদেরকে নানা অজুহাতে কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ জানান, আজ মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন চলছে।
নির্বাচনের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সংগঠন থেকে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়। সোমবার রাতে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গলসহ জেলার সবকয়টি উপজেলার সাংবাদিকদের সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ কার্ড ইস্যু করা হয়। জেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ কার্ড হাতে পেয়ে আমরা হতবাক হয়ে পড়ি। কার্ডের ওপরে জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ লেখা অথচ নির্বাচন হচ্ছে ২০২০ সালে। এছাড়া উপ-নির্বাচন লেখা হয়নি।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কার্ডটি ফটোকপি। সাংবাদিকরা স্ব স্ব পত্রিকার নাম দিলেও কার্ডের শুধুমাত্র নাম লিখা ছাড়া সব কিছুই কলাম খালি ছিল। সরকারের অন্যতম একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদ। সেখানে ভোটার হচ্ছেন- জনগণের নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। এমন একটি নির্বাচনের জন্য কি নতুন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস পর্যবেক্ষণ কার্ড তৈরি করতে পারতো না এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জেলার সাংবাদিক মহলে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কার্ড পোস্ট করে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সবাই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব ও কতর্ব্যের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে বলা হয় কলম দিয়ে কার্ডে ২০২০ লিখে নিতে? প্রশ্ন হলো তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কি টাকা বাঁচাতে ফটোকপি করে কার্ড ইস্যু দিয়েছেন?
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের কাছে পুরাতন কার্ড ইস্যু করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।