এক কর্মকর্তাকে নিয়ে উল্টো পথ চলল ৫ কিলোমিটার ট্রেন রেলওয়েতে তোলপাড় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। লালমনিরহাট বিভাগ।
কর্মকর্তাকে নিয়ে ৫ কিলোমিটার উল্টো পথ চলল ট্রেন রেলওয়েতে তোলপাড় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন লালমনিহাট বিভাগ
এক কর্মকর্তাকে নিয়ে গিয়ে ট্রেন উল্টো পথে চলাচ্ছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এমন নজর বিহীন ঘটনাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগে।
রেলওয়ে সূত্রে জানায়, ট্রেনটি উল্টো পথে চালানো হয় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনুমতি ছাড়া অথচ এ রেলওয়ে নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি ওর অনুমতি ছাড়া কোন ট্রেন মুভমেন্ট সম্ভব নয়।
রেলওয়ে অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে প্রধানমন্ত্রীও যদি নির্দেশ দেন তবুও বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়া ট্রেন বিপরীত দিকে চালানো যায় না। কন্ঠলোপিস চালক গার্ড কিংবা স্টেশন মাস্টার কেউই নিজস্ব সিদ্ধান্তে ট্রেন চালাতে পারেন না। ডিউটি ওর নিয়ন্ত্রণাধীন কন্ট্রোল অফিস থেকে সব মুভম্যান অর্ডার ইস্যু করা হয়।
কিন্তু গত সোমবারে ওই ঘটনার কোন কন্ট্রোল অর্ডার বা মেমো অনুসরণ করা হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কে দিল টেন পিছনের দিকে চালানোর নির্দেশ।
রেলওয়ে দায়িত্বশীল সূত্র নিষিদ্ধ করেছেন উক্ত টেন মুভমেন্টের বিষয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বা সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা কেউই অবগত ছিল না। সবকিছুই ঘটেছে কর্মচারী নিজস্ব সিদ্ধান্তে।
সূত্রের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র যার লক্ষ্য ছিল লালমনিরহাট বিভাগের ব্যবস্থাপক আবুহেনা মোস্তফাকে ফাঁসানো। ঘটনাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে দোষ তার ওপর হেনস্থা ও যদি এই মুভমেন্টে তার কোন প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল না।
রেলওয়ে নিয়ম অনুযায়ী টেন বিপুর দিকে নেওয়া ঘটনা ট্রেন কন্ট্রোলার চালক স্টেশন মাস্টার সবই দায়ী। কিন্তু বাস্তবে সমালোচনার মুখে পড়ছেন কেবল একজন কর্মকর্তা যিনি এই মুভমেন্টের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতায় রাখেন না।
পেছনের কাহিনী : অনিয়ম ধরা পড়ার ক্ষোভ সম্প্রতি পঞ্চগড়ে বিসি ওয়াগনে বালু পরিবহনে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ নির্দেশনায় অতিরিক্ত দুই লাখ ৯৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
এদিকে স্টেশন মাস্টার দায়িত্ব পালনের নতুন নিয়ম চালু হওয়ার অসন্তোষ দেখা দিয়েছে আগে তারা ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা টানা দায়িত্ব পালন করতেন এখন পরিবর্তন করে তিনজন থাকলে 12 ঘন্টা দুইজন থাকলে ২৪ ঘন্টা করে দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে তাদের অতিরিক্ত সুবিধা কমে গেছে।
কুড়িগ্রাম রংপুর ও লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো অপরিচ্ছন্নতা ছিল দীর্ঘদিনের সমস্যা বর্তমানে তা কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। যাত্রীরা এখন সন্তোষ প্রকাশ করছেন ফলে ঠিকাদারদের একটি অংশ ক্ষুন্ন হয়ে আছে।
এদিকে যাত্রী সন্তুষ্টি বাড়াতে লালমনিরহাট বিভাগে সব স্টেশনে এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পরিবেশের দৃশ্যমান কাটারিং সার্ভিসের মান উন্নতি হয়েছে বালু পরিবহনের অনিয়ম বন্ধ হয়েছে স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব শৃঙ্খলা হয়েছে।
ট্রেন অ্যাটেনডেন্ট দের অনিয়ম রোদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই পরিবর্তনে সাধারণ যাত্রী সন্তুষ্ট হলেও এক শ্রেণীর কর্মচারী এতে ক্ষুণ্য সচেতন মহল মনে করে তারা প্রশাসনবিরুদ্ধি ষড়যন্ত্রের জড়িয়ে থাকতে পারে।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ডি আর এম ব্যবস্থাপক আবুহেনা মোস্তফা বলেন ট্রেনের উল্টো পথে চলার ঘটনা নিঃসন্দেহে গুরুতর বিষয় তবে প্রাথমিক তথ্যে মনে হচ্ছে এটি একটি প্রশাসনিক ত্রুটি নয় বরং পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের মুভমেন্ট কেবলমাত্র কন্ট্রোল অফিসের নির্দেশে সম্ভব। আমি বিষয়টি ইতিমধ্যে উচ্চ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন রেলওয়ের ভাবমূর্তি ও যাত্রী নিরাপত্তা রক্ষায় কোন ধরনের অনিয়ম বরাস্ত করা হবে না।