রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে দোকানের বাকীর টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে শশুর-শালা ও জামাই এর সঙ্গে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৯ জুন উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের পশ্চিম মাথায়
জামাই মামুন এর কান কেটে পড়ে শশুর-শালার রডের আঘাতে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এবিষয়ে আহত জামাই মামুনের বড় বোন মোসাঃ সেলিনা বেগম বাদী হয়ে বাঘা থানায় বিবাদী ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় লোকজন জানান,মামুন ও তার চাচাতো শশুর -শালারাই মারামারি করেছে।মামুন জামাই কে শশুররাই মারধর এর ঘটনা ঘটিয়েছে দোকানের বাকী টাকা চাওয়াতে কেন্দ্র করে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে, ঘটনায় দিন সন্ধ্যা অনুমান ০৭.১০ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ বেআইনী ভাবে দলবদ্ধ হয়ে হাতে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, শাবল, এবং মেশিনের
লোহার হ্যান্ডেল দিয়ে বাঘা থানাধীন মনিগ্রাম বাজারে আমার ভাইয়ের(মামুনের) মুদি দোকানে হামলা করে।১নং আসামী মোঃ মাওলা(২৫) হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত ফলে আমার ভাইয়ের ডান কানে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে রক্ত বের হতে থাকে। ২নং আসামী মোঃ আলিফ (২২) হাতে থাকা শাবল দিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিছন হইতে পিট বরাবর আঘাত করলে উক্ত আঘাতের ফলে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হাতে থাকা শ্যালো মেশিনের লোহার হ্যান্ডেল নিয়ে বুক বরাবর পরপর কয়েকটি আঘাত করে উক্ত আঘাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে কাটা জখম প্রাপ্ত হয়। অভিযোগে বিবাদীরা হলেন, ১ নং মোঃ মওলা(২৫) পিতা মোঃ আলম, ২ নং মোঃ আলিফ(২২) পিতা মৃত মোক্তার,৩ নং মোঃ শাকিল(২০) পিতা মোঃ মফিজ,৪ নং মোঃ রনি(৩০) পিতা মত
হযরত,৫ নং মোঃ কুদরত(২৫) পিতা মোঃ মোস্তফা, ৬ নং মোঃ বকুল(৩৫) পিতা মৃত হযরত,৭ নং মোঃ আলম(৪৫) পিতা মৃত হযরত, ৮ নং আলী(২২) পিতা মোঃ আলম সর্ব সাং মনিগ্রাম, বাঘা থানাধীন।
আহত মামুনের বড় বোন মোসাঃসেলিনা বেগম প্রতিবেদক কে বলেন, দোকানে ছোটভাই মামুন কে মারধর করছিলো ছোট ভাই এর চাচাতো শশুর ও শালারা মিলে। মারধরের সময় আমার ভাইয়ের চিৎকারে আমার পিতা-ওহাব আলী এবং মাতা মোসাঃ দেলেরা বেগম বাড়ী হতে বাহির হয়ে ভাইকে বাঁচানোর জন্য আগাইয়া আসিলে তাদেরও ৮ জন আসামীগণ মিলে এলোপাথাড়ী ভাবে মারধর করে শরীরের ফুলা জখম করে। আসামী মোঃ আলী(২২) সু-কৌশলে দোকানের ক্যাশ বক্স হতে নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। হয়রতের দুই ছেলে বকুল (৩৫) ও আলম(৪৫) মিলে দোকানের বিভিন্ন প্রকারপ্রশাধনী,বোতলজাত সোয়া বিন তেল,সাবানসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরে স্থানীয়রা আহত মামুন কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে রাজশাহী মেডিকেল চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এবিষয়ে বাঘা থানার ওসি আছাদুজ্জামান বলেন,গত ২৯জুন মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো এবং এবিষয়ে আহত দোকান মালিক মামুনের বড় বোন বাদী হতে লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে।অপরাধীদের কয়েকজন বিজ্ঞ আদালত মাধ্যমে জামিনে রয়েছে।