শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় যাচাই–বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের সদস্যপদ নিশ্চিত করা হয়।
সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
এ সময় তাঁদের পরিচয় পাঠ করা হয়, শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয় এবং প্রেসক্লাবের নীতিমালা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব আরও সক্রিয়, কর্মমুখর ও ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে যাবে। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন এবং নৈতিকতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
নতুন সদস্যরা প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করা হয় সভা থেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক আহমেদ। পরে নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ এবং মিষ্টিমুখ করানো হয়।
সভায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের প্রেসক্লাবের জন্য একটি আনন্দের দিন। নতুন সদস্যদের আগমনের মধ্য দিয়ে আমাদের সংগঠন আরও শক্তিশালী, প্রাণবন্ত ও গতিশীল হয়ে উঠেছে। বরেন্দ্র প্রেসক্লাব শুধু একটি পেশাগত সংগঠন নয়, এটি আমাদের সবার জন্য একটি পরিবার। আপনাদের যোগদানে এই পরিবার আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, নতুন সদস্যরা সত্যনিষ্ঠ, বস্তুনিষ্ঠ ও নৈতিক সাংবাদিকতার চর্চার মাধ্যমে সমাজের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করবেন। সংগঠনের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও পেশাগত মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এই প্রেসক্লাব ভবিষ্যতে আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছাবে
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, নতুন সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ হবে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।