লালমনিরহাটে বাল্যবিবাহ ও তার পরিণতি নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার আওতায় স্কুল ভিত্তিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার ইটাপোতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সেভ দ্যা চিলড্রেন এর কারিগরি সহায়তায় জননী প্রকল্পের আয়োজনে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীতা দাস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিতার্কিক ও অন্যান্য অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে বাল্য বিয়ের নানা নেতিবাচক দিক। তাঁরা বলেন, লালমনিরহাটের মত দরিদ্র প্রবণ জেলার গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে বাল্যবিবাহের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। পারিবারিক, সামাজিক এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের সামগ্রিক কাঠামোয় এর ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আয়োজকরা জানান, জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে 'কইকা'র অর্থায়নে আরডিআরএস বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। তারা বলেন, বাল্যবিবাহের পরিণতি এবং নিষিদ্ধ করার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা; বয়ঃসন্ধিকালে গর্ভধারণের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া; নারীর ক্ষমতায়ন সহ স্ব-এডভোকেসির গুরুত্ব; কম বয়সে গর্ভধারণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও জনসাধারণকে বাল্যবিয়ের নীতি ও আইন সম্পর্কে
সচেতন করাই হচ্ছে এ কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাকির হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিজয় চন্দ্র মোহন্ত, মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন, আরডিআরএস-এর গভার্ণমেন্ট রিলেশন অফিসার জুলফিকার আলী, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার রোকনুজ্জামান এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, ইমাম-পুরোহিত, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।