রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
রাজশাহীর জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী ট্রাইব্যুনাল ও দায়রা জজ -২ আদালতে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মোহনপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ক ক টে ল ও দেশীয় অ স্ত্র সহ আটক ৫ রাজশাহী কোর্ট চত্বরে গণঅধিকার পরিষদের প্রাঙ্গণে লিফলেট বিতরণ মাদক মামলায় ০৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ০১ জন আসামী গ্রেফতার মোহনপুরে হিমাগারে বাঁশের বেড়া অপসারণ করলেন প্রশাসন  রাজশাহীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই দুর্গাপুরে ডিপ টিউবওয়েল নিয়ে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত আহত ১০ , খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে সাধারণ সম্পাদক একাদশ বিজয়ী রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী ফারুক‘কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ বাগমারায় টেলিগ্রাম অ্যাপসে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার  ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা রাবি শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল মানববন্ধনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার: আইনজীবীর লিগাল নোটিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবীতে ট্রেন অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন হোস্টেলের ভাড়া কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে ১২ মামলার মূল হোতা সাব্বির‘কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ শিবগঞ্জে ২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার এক রাজশাহীর তানোরে গলায় ফাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা রাজশাহী জেলা গণধিকার পরিষদের নতুন কমিটি অনুমোদন রাজশাহীর দূর্গাপুরে হত্যা মামলার ৫ জন এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদেরকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার জয়পুরহাটের ছোট হেলকুন্ডা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার মুল আসামী আমানত’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

সত্য কথা বললে বুকে গুলি করব পিঠ দিয়ে বের হবে’

মাগুরার কথা ডেক্স / ৬৪৫ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান নিহত হওয়ার পর ঘটনার কথা কাউকে না বলতে দুই কনস্টেবলকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছিলেন ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ ও রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া। আদালতে কনস্টেবল সাইদুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেনের ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আদালতে কনস্টেবল সাইদুর বলেছেন সেদিন এসআই আকবর তাকে হুমকি দিয়ে বলেন,‘সিনিয়র স্যাররা এলে বলবি, ফাঁড়িতে কোনো লোক এনে নির্যাতন করা হয় নাই। সে (রায়হান) কাস্টঘর থেকে গণপিটুনি খেয়ে ধরা পড়েছে। তাকে সরাসরি ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, যা বলছি তাই বলবি। সত্য কথা বললে বুকে গুলি করব, পিঠ দিয়ে বের হবে।’

জানা যায়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনার সময় বন্দর ফাঁড়িতে দায়িত্বে থাকা তিন কনস্টেবল দেলোয়ার, শামীম ও সাইদুরকে ১৯ অক্টোবর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের খাস কামরায় নেয়া হয়। সেখানে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক।

কনস্টেবল শামীম মিয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর রাত ২টার দিকে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা শেষ করে ফাঁড়ির মুন্সির কক্ষে তিনি ঘুমিয়ে যান। রাত ৩টার পর কক্ষের ভেতরেই কান্নার আওয়াজ শুনে তার ঘুম ভেঙে যায়। দেখতে পান রায়হানের দুই হাত পেছনের দিকে হাতকড়া লাগানো। মেঝেতে বসে চিৎকার করছেন তিনি।

কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস মোটা লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করছেন। একপর্যায়ে তিনি ডান দিকে কাত হয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়লে কনস্টেবল টিটু তার পায়ের তলায় আঘাত করে। তখন কনস্টেবল হারুনুর রশিদ রুমে প্রবেশ করেন। তিনিও রায়হানকে মারধর শুরু করেন। এ সময় এএসআই আশেক এলাহী ও কুতুব উদ্দিন রুমে উপস্থিত ছিলেন। আর রুমের দরজায় দাঁড়ানো ছিলেন কনস্টেবল তৌহিদ ও সজিব।

এর কিছুক্ষণ পর রুমে প্রবেশ করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন। তিনি টিটুর হাতের লাঠি নিয়ে রায়হানকে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেই বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। তার মারমুখী আচরণ দেখে এএসআই কুতুব আকবরকে বলেন, স্যার আর মাইরেন না। তখন আকবর রুমের একটি বিছানায় লাঠি হাতে নিয়ে বসে যান।

সকাল সাড়ে ৭টায় সিয়েরা-৪ ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখি রায়হানকে যেখানে মারধর করা হয়েছে সেই স্থানটি ভেজা। সকাল ৯টায় আমরা ওসমানী মেডিক্যালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের স্টোরে গিয়ে দেখি একটি লাশ রাখা আছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে কনস্টেবল তৌহিদ। তখন লাশটি দেখে আমি চিনতে পারি।

কনস্টেবল সাইদুর আদালতকে জানান, বন্দরবাজার ফাঁড়ির মুন্সি কনস্টেবল আমিনুলের রুমে কনস্টেবল হারুন রায়হানের পা উঁচু করে ধরে রাখেন আর এসআই আকবর ও কনস্টেবল টিটু তার পায়ের পাতা এবং পায়ে আঘাত করেন। এ সময় এএসআই আশেক এলাহী আকবরকে বলেন, রায়হান পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে তার পায়ে মারেন। পায়ে মারলে সমস্যা নেই। তখন আকবর আমাকে ধমক দিয়ে সেন্ট্রি পোস্টে পাঠিয়ে দেন।

এরপর বেশ কয়েকবার রায়হানের চিৎকার শুনতে পাই। ভোর ৪টায় কনস্টেবল দেলোয়ারকে আমি ডিউটি বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাই। সাইদুর আদালতকে বলেন, পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির মুন্সি কনস্টেবল আমিনুল ডিসি স্যারের (এসএমপির উপকমিশনার উত্তর আজবাহার আলী শেখ) কথা বলে ফাঁড়িতে ডাকেন।

আসার পর আকবর স্যার বলেন, ‘সিনিয়র স্যাররা এলে বলবি, ফাঁড়িতে কোনো লোক এনে নির্যাতন করা হয় নাই। সে (রায়হান) কাস্টঘর থেকে গণপিটুনি খেয়ে ধরা পড়েছে। তাকে সরাসরি ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’ আমি যা বলছি তাই বলবি। আমার বুকে হাত দিয়ে আকবর স্যার হুমকি দিয়ে আরও বলেন, ‘সত্য কথা বললে বুকে গুলি করব, পিঠ দিয়ে বের হবে।’

সাইদুরের মতো একইভাবে এসআই আকবর কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনকেও হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন। দেলোয়ার আদালতে বলেন, কনস্টেবল তৌহিদ ফাঁড়ির সেন্ট্রি পোস্টে তার সঙ্গে গল্প করছিল এ সময় আকবর স্যার তৌহিদকে ডেকে নেন। এরপর তৌহিদ এসে জানায়, আকবর স্যার তার মোবাইল নিয়ে রায়হানকে দিয়ে তার বাসায় কল দিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলেছেন। এরপর আকবর স্যার এএসআই আশেক এলাহীকে বলেন, আমি ঘুমিয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর রায়হানকে হাসপাতালে নিয়ে যেও।

ফজরের আজানের পরপর রায়হানের চাচা এলে তাকে নিয়ে নামাজে যান এএসআই আশেক এলাহী। নামাজ থেকে এসে আশেক এলাহী রায়হানের চাচাকে বলেন, স্যার ঘুমিয়ে গেছেন আপনি সকাল ৯টার পর আসেন। সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে এএসআই আশেক এলাহী ও কনস্টেবল হারুন রায়হানকে ধরে বের করে নিয়ে আসেন এবং সিএনজি আটোরিকশায় তোলেন। তারা আমাকে জানান তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আধাঘণ্টা পর আকবর স্যার ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে যান।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!