ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তাকিন আহমেদ ইয়ামিন (২১)। বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) রাতে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে তাকে বাঘা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন নিহতের দাদা আব্দুর রহমান এছা। জানাজা শেষে স্বজন, সহপাঠী ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সাঈদ চাঁদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অনোয়ার হোসেন উজ্জল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, কৃষকদল, জিয়া পরিষদ, জামায়াতে ইসলামী ও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নিহত ইয়ামিন বাঘা পৌরসভার মিলিকবাঘা গ্রামের মৃত ইউসুফ বিন মুসার পুত্র। তিনি ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমানে শাহদৌলা সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং যুবদল নেতা আলামিনের ভাতিজা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে মোটরসাইকেলে করে বাঘা-আড়ানী সড়ক পথে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ইয়ামিন। উপজেলার আমোদপুর জামে মসজিদের উত্তর পাশে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ড-১১-০৩৮৮) তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মাথায় হেলমেট না থাকায় তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
প্রথমে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহীর বেসরকারি সিডিএম হাসপাতালে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে বুধবার রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাক রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। ট্রাকটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।