রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
সাংবাদিককে মোবাইলে হুমকি ও যুবদলের নাম ভাঙিয়ে ভয়ভীতি বোয়ালিয়া থানায় জিডি, কঠোর হুঁশিয়ারি যুবদলের শ্যামনগরে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মাগুরায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর সমাপনী: রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে নতুন ২৪ সদস্য অন্তর্ভুক্ত, আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মাগুরা বাঘায় কিশোরকন্ঠ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ডিডাফ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি টিম মিটিং অনুষ্টিত সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল রাজশাহী তানোরে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদকে মৃত ঘোষণা করছে চিকিৎসকরা ৩২ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধর অভিযানের পর শিশু সাজিদকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩২ ঘন্টার পর উদ্ধার সাজিদ, চলছে শারিরীক পরিক্ষা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাগুরায় জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রচারনা মিছিল অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় সাংবাদিক ও আইন পেশায় নিয়োজিত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য চেয়ে পত্র প্রেরণ রাজশাহীতে চাঁদাবাজি–হামলায় ক্ষতবিক্ষত ব্যবসায়ী, তালাবদ্ধ দোকান, ন্যায়বিচারের দাবি ধর্মকে ঢাল বানিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিভ্রান্তি কাম্য নয়: আবু সাঈদ চাঁদ মাগুরায় সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ,মাদকের বিরুদ্ধে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত চন্ডিপুরে দোয়া মাহফিল: মুলা খামারুর নেতৃত্বে ১০০ মোটরসাইকেল অংশগ্রহণ উপকূলীয় জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় গ্রামীণ মেলা ও প্রদর্শনী রাজশাহীর তানোরে ২ বছরের শিশু সাজিদ পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের ৫০ ফিট নিচে পড়েছে তাকে উদ্ধার কাজ চলমান মাগুরায় বেগম রোকেয়া দিবসে ১০ অদম্য নারীকে সম্মাননা
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

রাজশাহীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্কুল ছাত্রছাত্রী 

মাগুরার কথা ডেক্স / ১৭৮ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ণ

সমতল ভূমি থেকে ৩২ ফুট গভীর নদী। আর নদীর কোল ঘেঁষেই ১২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ভালো। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল। নদীর একপাশ থেকে আরেক পাশে যেতে ঘুরতে হয় দূরের পথ। আবার ডিঙি নৌকায় যাওয়া যায় সহজেই। এতে থাকে চরম ঝুঁকি। তবুও নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার এলাকায় বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯০৫ সালে শিব নদীর কোল ঘেঁষে নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় চড়ে ওই নদী পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ১২০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের চলমান উন্নয়নের সঙ্গে বিদ্যালয়টিতে যাওয়ার পথের তেমন উন্নয়ন হয়নি। নৌকায় যাতায়াত না করলে তাদের প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। আবার সেই পথের অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলে দূরের সেই পথে থাকে কাঁদা। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, নওগাঁ, মালিদহ ও গোপইল গ্রামের মানুষের এমন ভোগান্তি নিত্যদিনের সঙ্গী।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম বলে, আমার বাড়ি নদীর ওই পাড়ে মালিদহ গ্রামে। আর নদীর এই পাড় নওগাঁ গ্রামে বিদ্যালয়। অনেক সময় বৃষ্টি হলে নৌকায় চড়ার জন্য নদীতে নামতে গিয়ে পড়ে যাই। আবার নৌকা থেকেও পড়ে যাই। এ সময় আমাদের বই-খাতা পানিতে ভিজে যায়। শরীরে ব্যাথা পাই, এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

আরেক শিক্ষার্থী আলিশা বলে, আমরা যখন নদী পার হয়ে নৌকায় চড়ে বিদ্যালয়ে আসি, তখন অনেক ভয় লাগে। কারণ অনেক সময় নদী ভরা থাকে, আবার স্রোতও থাকে। তখন নৌকা থেকে পড়ে গেলে আমাদের বই-খাতা ভিজে যায়। আমরা বড়, সাঁতরাতে পারি আবার সেসময় চিৎকার করলে অভিভাবকরা এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে। কিন্তু ছোট ভাই বোনেরা সাঁতরাতেও পারে না, জোড়ে চিৎকার করতেও পারে না। এজন্য এখানে আমরা একটা সেতু চাই।

এক শিক্ষার্থীর বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুলে আসার পথে যানবাহনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য আমরা নদী পার করে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে আসি। আবার নিয়ে যাই। যদি এখানে একটি সেতু থাকতো। তাহলে বাচ্চাদের নিয়ে তেমন কোনো কষ্ট হতো না। তারা নিজেরাই স্কুলে আসতে পারতো, আবার বাড়ি ফিরতে পারতো। এতে আমাদের চিন্তা হতো না। এই নৌকা দিয়ে না এসে রাস্তা দিয়ে আসলে অনেক দূর ঘুরতে হয়। সেই রাস্তাটাও একেবারে খারাপ।

আরেক শিক্ষার্থীর বাবা সামসুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা। সরকার নিয়ম করছে এখন পাঁচ বছর থেকে স্কুলে ভর্তি হতে। এই বয়সে যদি বাচ্চাকে নদীর ওই পাড়ের স্কুলে ভর্তি করে দেব। নদী যখন ভরে যাবে, তখন বাচ্চারা নৌকায় কীভাবে পার হয়ে যাবে। সরকার তো কত জায়গায় ব্রিজ করে দেয়। আমাদের এখানে নজর দেওয়ার অনুরোধ করছি।

স্থানীয় বাসিন্দা জেকের আলী, আবুল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, এই বিদ্যালয়ে কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। এর মধ্যে নদীর ওই পাশের শিক্ষার্থীই বেশি। তারা রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। সেই রাস্তার অবস্থাও খুবই খারাপ। বর্ষা হলে চলাফেরা করাই মুশকিল। তাই বাচ্চারা দূরের পথ কষ্ট করে না ঘুরে নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে। এতেও তাদের চরম ঝুঁকি থাকে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা এই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।

নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আহমেদ বলেন, এই স্কুলের বড় সমস্যা নদী পথ। আগে স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩০০ জন। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপের কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ১৫০ জন। এর মধ্যে নদীর ওপারের গ্রাম মালিদহ ও গোপাইল গ্রামের শিক্ষার্থী অর্ধেকের বেশি। নদীতে পানি থাকায় ছোট ডিঙি নৌকায় চড়ে নদী পারাপার হতে ছেলেমেয়েরা ভয় পায়। এখানে একটা সেতুর খুবই প্রয়োজন। একটি সেতু করে দেওয়ার জন্য আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

মোহনপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ওই এলাকার জন্য ইতিমধ্যে কেশরহাট থেকে খালগ্রামের রাস্তা সংগ্লন্ন নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা থেকে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব বলে আশা করছি।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!