লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের টাপুর গ্রামে সতী নদীর উপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। নিজের নিজের অর্থায়নে 5 দিন ধরে স্বেচ্ছাস্রমে নির্মিত এই শাখা চালু হওয়া যথায থের দুর্ভোগ ঘষেছে অত্যন্ত ১০ হাজারও বেশি এলাকাবাসীর তবে স্থানীয় লোকজনের সেতুর দাবি জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা টাপুর গ্রামে কৃষক আবেদ আলী (৬৫ )বলেন, সতী নদী ওপর কোন সেতু না থাকায় আমাদের চরম কষ্ট পোহাতে হতো। আগে গ্রামের মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে অস্থায়ী বাস বাঁশের সাঁকো বানাত এবার যুবদলের নেতারা নিজের টাকা মজবুত করে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে। সাঁকোটা হাওয়ায় গ্রামবাসীর অনেক সুবিধা হয়েছে এখন রিকশা সাইকেল চলাচল করতে পারছে।
কৃষক মনসুর আলী (৬০) বলেন, আমাদের কষ্টটা বুঝে নেতারা বাঁশের ব্রিজ বানাচ্ছে এখন সহজে চলাফেরা করা যায় তবে আমাদের দাবি এই নদীর ওপর যেন স্থায়ীও একটা ব্রিজ তৈরি করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিস বলেন ,এলাকার মানুষের কষ্টের কথা জেনে আমরা নিজেরাই চাঁদা তুলে এই বাঁশের সাঁকো তৈরি করছি। আমাদের নেতাকর্মীরাই পাঁচ দিন ধরে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করছেন কোন শ্রমিক নেওয়া হয়নি। আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি।
বাঁশের সাঁকোটি উদ্বোধন করেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ, আসাদুল হাবিব। তিনি আরো বলেন,
লালমনিরহাট জেলা যুবদল জনগণের কল্যাণ ে কাজ করছে তারা নিজের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার ক নির্মাণ করে সত্যিই প্রশংসার যোগ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জনগণের পাশে থাকতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল ৭০ কিলোমিটার বেশি কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছেন।
তিনি গ্রামবাসীকে সতী নদীর উপর একটি স্থায়ীও সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
লালমনিরহাট জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম বলেন, আমরা টাপুর গ্রাম পরিদর্শন করব সতী নদীর ওপর একটি স্থায়ীও সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা সম্ভব।