বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাঘায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সভাপতি রেজাউল, সম্পাদক শামসুল  মহম্মদপুর থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এসআই “নিক্কণ আঢ্য” সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মহম্মদপুরে মানববন্ধন রাজশাহীর দূর্গাপুরে আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তিন দিনের অবরোধ ঘোষণার পর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার লালমনিরহাটে মাদক বিরুদ্ধে অভিযানে ২০৬ টি ইয়াবা ও ০৩ গ্রাম হিরোইনসহ আটক -১ নওগাঁ জেলার ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) কমিটির গঠন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ভবানীগঞ্জে চালু হলো ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল চ্যালেঞ্জ জয় করে রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সফল কর্মীসভা সম্পন্ন রাজশাহীতে মৃত বৃদ্ধার পরিচয় সনাক্ত করলেন পিবিআই ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মোহনপুরে বিদায়ী ইউএনও আয়শা সিদ্দিকাকে সংবর্ধনা বিসিএস ক্যাডার হওয়া এক গর্বিত স্বপ্নের নাম,শাকিল খান রাজশাহীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্কুল ছাত্রছাত্রী  ৪ বছরে অর্জনের গৌরব, ৫ম বর্ষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মাগুরা জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা: মো: শামীম কবিরের ২ বছর পূর্ণ করায় শুভেচ্ছা জানানো হয় মাগুরায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ মাগুরায় দাসনা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

কেরানীগঞ্জে কাঁচা রাস্তা নিয়ে দুর্ভোগে গ্রামবাসী

অনলাইন ডেক্স / ৫০৪ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৪৪ অপরাহ্ন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর মুসলিমবাগ ঘেঁষে, বাস্তা ইউনিয়নের পোথাইল গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ২০ বছরের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এই রাস্তা পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটি দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ব্যাপক গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও রিকশা-ভ্যানচালকের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। এলাকাবাসী জানায়, কাঁচা এই রাস্তাটি বৃষ্টিপাতের কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে যায়। ঘন বর্ষার সময় জল কাঁদায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এ রাস্তা। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বর্ষাকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।

এছাড়া কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এ রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না।এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নেতা আসে নেতা যায় কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলে প্রতিবছরই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাঁদামাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল দাস বলেন, রাস্তাটি অবস্থা এতই খারাপ যে এই এলাকার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামের মানুষ ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। এমপি, মন্ত্রী, মেম্বার ও চেয়ারম্যান বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র।

টুম্পা দাস জানান, বর্ষা মৌসুমে মাত্রাতিরিক্ত কাঁদার কারণে কোনো রিকশা এই রাস্তায় চলাচল করে না। তাই কোনো আত্মীয়স্বজনও এই গ্রামে আসতে চায় না। তিনি বলেন, গভীর রাতে প্রসবব্যাথা উঠলে রাস্তায় খানাখন্দের কারণে যানবাহন না থাকায় কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয় অন্তঃসত্ত্বাকে। এতে গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।

মুসলিমবাগ গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাঁদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে।

রিকশা চালক আব্দুর রহমান বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় রিকশা চালাতে গিয়ে প্রায়ই নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। ফলে সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা রোজগার করি, তার একটা অংশ মেরামতেই শেষ হয়ে যায়। ২০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ৪০-৪৫ মিনিট। ২০ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা।

এ সময় কলেজছাত্র মোহনদাস বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। অনেক সময় রিকশায় করে এই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে গেলে তাঁদের অবস্থা আরও কাহিল হয়ে পড়ে।

বাস্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আশকর আলী বলেন, রাস্তাটির দুর্দশার ভোগান্তি আমার নজরে থাকলেও ঐ রাস্তাটির কাজ করার আমার এখতিয়ার নেই। আমি আসন্ন নির্বাচনে আবার নির্বাচিত হলে ভেবে দেখ।

তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাট মিয়া বলেন, ঐরাস্তাটি আমার ইউনিয়নের আওতাধীন। কথা দিচ্ছি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে রাস্তাটি মেরামত করে দিবো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা শিগগিরই ঐ এলাকা পরিদর্শনে যাব। এ বছর অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!