মহম্মদপুরের খাজুরা এলাকায় মিশোর সাহার গ্যাং এর কারনে অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। প্রায়ই ওই এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় নেতারা বেশ কয়েকবার সালিশ মিমাংশা করে তাকে বোঝাবার চেষ্টা করেছে তবে তাতে কোন লাভই হয়নি ফের স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনায় লিপ্ত হয়ে এলাকায় অশান্তি সুষ্টি করেছে।
আজ শনিবার একটি মামলায় মিশর সাহাকে আটক করেছে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
সম্প্রতি মাগুরার মহম্মদপুরের দীঘা ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামে “দীঘা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ” থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মিশর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে । গত বুধবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা মহম্মদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। আহতরা হলেন খাজুরা গ্রামের মৃত নিরাপদ সাহার ছেলে নারায়ন কুমার সাহা (৪৮) ও অনুপ কুমার সাহার ছেলে মহম্মদপুর আরএসকে এইচ ইনষ্টিটিউশনের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অংকুর সাহা (১৩)।
স্থানীয় ও আহতদের মাধ্যমে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার বিকালে দীঘা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ থেকে বাড়ি ফেরার সময়, কেতু সাহার বাড়ির পাশ থেকে কেতু সাহার ছেলে মিশর সাহা (৩৫), দিলিপ কুমার পোদ্দারের ছেলে মিঠু পোদ্দার (৩৫), মিহির সাহার ছেলে তুষার সাহা (৩৮) সাথে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে অতর্কিত ভাবে নারায়ন কুমার সাহা ও অংকুর সাহা উপর রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে। এসময় নারায়ন কুমার সাহা মারাত্বক আহত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মিশর সাহাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায় মিশরের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে এবং তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশিরভাগ স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ মিশর সাহা একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক সে গ্রামে সনাতনধর্মী লোকজনের মাঝে ঝামেলা বাধিয়েই চলছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।