ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ঐতিহ্যবাহি অগ্রদূত কল্যাণ সমিতি কালের বিবর্তনে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্টানটি দেখার কেউ না থাকায় পরিত্যক্ত ঘরের ভেতরে আস্তানা করেছে জীবজন্ত,গজিয়ে উঠেছে লতাপাতা গাছ। ১৯৭৩ সালে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত কোটচাঁদপুরে একমাএ ক্লাব অগ্রদূত কল্যাণ সমিতি। প্রথম অস্তায়ীভাবে প্রতিষ্টিত হয় দুধসরা রোডে মাছুদুর রহমান ব্যারো মিয়ার জমিতে। পরবতীর্তে কয়েক বছর পর জমির মালিকের আপত্তির কারণে পতিষ্টানটি সরিয়ে এনে প্রাক্তন জুট মার্কেট কর্পোরেশনের পাশে ওছু কাজির বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত সিএন্ডবির জমিতে স্হায়ী ভাবে ঘর নির্মাণ করে শুরু করা হয় অগ্রদূত কল্যাণ সমিতির কর্যক্রম।
অগ্রদূত কল্যাণ সমিতির অতীত বর্তমান নিয়ে কথা হয় সমিতির একসময়ের সক্রিয় সদ্যস আলিউজ্জামান (বুদো) মিয়ার সাথে। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অগ্রদূত কল্যাণ সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এলাকার যুব সমাজের উন্নয়ন। তথা সমাজের অসহায় অবহেলিত বঞ্ছিত মানুষের পাশে থেকে সমাজের কল্যাণমূলক কাজ করা। সে সময় ক্লাবের সদ্যস সংখ্যা ছিল ৫০ এর অধিক। আশির দশকে ক্লাবে বয়ক শিক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছিল। তাতে বহু নিরক্ষর মানুষেকে অক্ষর জ্ঞান দান সম্ভব হয়েছিল। নিয়মিত চলত খেলা ধূলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক। ক্লাবের নাট্যশিল্পী দিয়ে মঞ্চে। এ নাট্যমঞ্চটিও এখন বিলুপ্ত। এভাবেই সব কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অগ্রদূত ক্লাবটি এখন ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। ক্লাবটির পূর্বের জৌলুশ ফিরেয়ে আনার মত তেমন কোন যুবসমাজ আর এগিয়ে আসে না। এভাবে উপজেলার অনেক নামি -দামি ক্লাব আজ বিলুপ্ত হয়ে গিছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যুবসমাজ মোবাইল ফোনে আশক্ত হয়ে পড়ছে। এজন্য এরা ক্লাব বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। ফলে যুবসমাজের অবক্ষয় ঘটছে। যুবসমাজের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হলে ক্লাবের মাধ্যমে খেলা ধূলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। এজন্য ক্লাবকে বাঁচাতে হবে।