বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে অফিসার ও ফোর্সদের সমন্বয়ে মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সবুজ মিয়াকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান মাগুরা জেলা প্রশাসকের বিদায় সংবর্ধনায় সাংবাদিক ও সুধীজনদের শুভেচ্ছা বিনিময় শিক্ষা বোর্ড তোলপাড় করা ভুয়া সনদধারী শাহিনের দলিল লেখার সনদ বাতিল রাজশাহীতে গৃহবধূর বাড়ি থেকে আড়াই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন!২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম “পবার গ্রাম অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ,, রামেকে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট হাতে মার খেলো আনসার সদস্য পবা-মোহনপুরে এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে মনোনয়ন দেওয়ায় আনন্দ মিছিল ফরিদপুরে আ.লীগ নেতা ফারুক হোসেন গ্রেফতার সিনিয়র সাংবাদিক শেখ শাহীন মানবাধিকার সংগঠন NPS-এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত খান শরাফত হোসেন সভাপতি অ্যাডঃ সঞ্জয় রায় চৌধুরী সম্পাদক মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর বাজারে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের অভিযান প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেডের বেতন নির্ধারণের ন্যায্য দাবি আদায়ের মানববন্ধন মাগুরায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খাঁন এর পক্ষে লিফলেট বিতরণ। রাজশাহী বাঘায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন ফার্মেসিকে জরিমান মোহনপুরের কেশরহাটে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, এক সন্দেহভাজন আটক অপহরণের ১৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি শমরিয়া রানী লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৫৬ জন ইউপি সদস্য বিএনপিতে যোগদান মাটির নিচে পুতে রাখা ১৫ কেজি গাঁজা সহ এক ব্যবসায়ী আটক
নোটিশ :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps   আমাদের ফেসবুক পেজ "দৈনিক মাগুরার কথা" https://www.facebook.com/share/1BkBEmbALr/

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়

মাগুরার কথা ডেক্স / ৩৪৮ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়।

 

কুঁড়েঘরের বারান্দার মাটির মেঝেতে বসে কান্না লুকানোর চেষ্টা করেও পারলেন না। কালো রোদচশমার ফাঁক গলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কোলে। কখনো বাড়ির দিঘিরপাড়ে, কখনো পৈতৃক ভিটায় বসে এভাবেই নীরবে চোখের জল ফেললেন। পরে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের পানি বোতলে ভরে নিয়ে গেলেন।

ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতাকে এভাবে দেখে অবাক হয়েছেন চেচরীরামপুর গ্রামের মানুষ। যাঁরা নচিকেতার গান শুনেছেন কিংবা তাঁর সম্পর্কে জানেন, তাঁরা নচিকেতার মাতৃভূমির প্রতি এমন টান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রিয় শিল্পীর কান্না দেখে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরও চোখে পানি ঝরেছে।

নচিকেতা চক্রবর্তীর জন্ম কলকাতায়। পূর্বপুরুষের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে। ২০১৪সালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন তিনি। সেদিন দুপুরে আসেন চেচরীরামপুর গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন জানান, হেলিকপ্টারে করে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা শহরে আসেন নচিকেতা। স্থানীয় বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামার পর ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আতিকুর ইসলাম, থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর দাস তাঁকে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের একটি স্মরণিকা উপহার দেন।

শংকর দাস বলেন, নচিকেতার দাদু (মায়ের বাবা) ললিত মোহন গাঙ্গুলী বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি এ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। দাদুর স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যালয়ে এসে প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী আবেগে শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন।

বিদ্যালয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সড়কপথে যান ভান্ডারিয়া শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কাঁঠালিয়ার চেচরীরামপুর গ্রামে। সেখানে ললিত মোহন গাঙ্গুলীর বাড়ির পাশেই জমি কিনে বসবাস করতেন নচিকেতার বাপ-দাদার পরিবার। সেখান থেকেই বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী ১৯৪৫ সালে সপরিবারে ভারত চলে যান।

গ্রামের লোকজন জানান, নচিকেতা প্রথমে গিয়েই বসেন বাড়ির দিঘিরপাড়ে। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন উৎসুক লোকজন। দিঘির জলের দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। এরপর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন তাঁদের ভিটায় এখন আনোয়ার সিকদার নামের এক ব্যক্তি ঘর তুলে বসবাস করছেন। একজন দেখিয়ে দেন তাঁর পৈতৃক ভিটা। সেখানে আনোয়ারের কুঁড়েঘরের বারান্দায় মাটিতে বসে পড়েন তিনি। এ সময় আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সবার সামনেই কেঁদে ফেলেন।

নচিকেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৪৫ সালে আমার বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী সপরিবারে ভারতে চলে যান। কলকাতায় আমার জন্ম। এখানে এসেছি নাড়ির টানে। অনেক দিন ধরে এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি। সময় পেলে আবার গ্রামে আসব।’ উপস্থিত গ্রামবাসীকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা আমার আপনজন।’


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!