রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা মহম্মদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায় মাগুরায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে উপানুষ্ঠানিক শিখন কেন্দ্রে স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ শ্রীপুরে ইছাক-আবিরন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি ও শীতবস্ত্র বিতরণ মাগুরা শ্রীপুরের সেই জোড়া শিশু মারা গেছে মাগুরা ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে সভা অনুষ্ঠিত  জরুরী নোটিশ: দৈনিক মাগুরার কথা অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সকল আইডি কার্ড বাতিল করা হলো। ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন মাগুরার জিহাদুল ইসলাম ইউসুফ  মাগুরায় মোহনা টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন।  মহম্মদপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক থেকে পদত্যাগ মহম্মদপুর বিশ্ব ডিম দিবস – ২০২৪ পালিত  মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির মহম্মদপুর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন। মাগুরার জেলা প্রশাসক শহিদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন মাগুরায় জেলা প্রশাসকের সাথে রিপোর্টার্স ইউনিটের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ সচেতনতা প্রচারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং সেচ্ছাসেবী দল গঠন  মাগুরার নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মিনা মাহমুদার যোগদান মহম্মদপুরে গণঅধিকার পরিষদের নতুন সদস্যদের যোগদান সভা অনুষ্ঠিত মাগুরা ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৮০কেজি গাঁজা সহ দুজন মাদক ব্যবসায়ী আটক নানা আয়োজনে মাগুরার মহম্মদপুরে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন মহম্মদপুরে বৃদ্ধকে জনসম্মুখে মাথা ন্যাড়াসহ গোঁফ কেটে দেওয়ার অপরাধে ত্রিনাথ শীলকে আটক করেছে পুলিশ
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়

মাগুরার কথা ডেক্স / ৮ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ১:৪২ পূর্বাহ্ন

উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী নচিকাতার পৈত্রিক ভিঠা ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়।

 

কুঁড়েঘরের বারান্দার মাটির মেঝেতে বসে কান্না লুকানোর চেষ্টা করেও পারলেন না। কালো রোদচশমার ফাঁক গলে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কোলে। কখনো বাড়ির দিঘিরপাড়ে, কখনো পৈতৃক ভিটায় বসে এভাবেই নীরবে চোখের জল ফেললেন। পরে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের পানি বোতলে ভরে নিয়ে গেলেন।

ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতাকে এভাবে দেখে অবাক হয়েছেন চেচরীরামপুর গ্রামের মানুষ। যাঁরা নচিকেতার গান শুনেছেন কিংবা তাঁর সম্পর্কে জানেন, তাঁরা নচিকেতার মাতৃভূমির প্রতি এমন টান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রিয় শিল্পীর কান্না দেখে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরও চোখে পানি ঝরেছে।

নচিকেতা চক্রবর্তীর জন্ম কলকাতায়। পূর্বপুরুষের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে। ২০১৪সালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন তিনি। সেদিন দুপুরে আসেন চেচরীরামপুর গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন জানান, হেলিকপ্টারে করে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা শহরে আসেন নচিকেতা। স্থানীয় বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামার পর ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আতিকুর ইসলাম, থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর দাস তাঁকে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপনের একটি স্মরণিকা উপহার দেন।

শংকর দাস বলেন, নচিকেতার দাদু (মায়ের বাবা) ললিত মোহন গাঙ্গুলী বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি এ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। দাদুর স্মৃতিবিজড়িত বিদ্যালয়ে এসে প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী আবেগে শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন।

বিদ্যালয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সড়কপথে যান ভান্ডারিয়া শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কাঁঠালিয়ার চেচরীরামপুর গ্রামে। সেখানে ললিত মোহন গাঙ্গুলীর বাড়ির পাশেই জমি কিনে বসবাস করতেন নচিকেতার বাপ-দাদার পরিবার। সেখান থেকেই বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী ১৯৪৫ সালে সপরিবারে ভারত চলে যান।

গ্রামের লোকজন জানান, নচিকেতা প্রথমে গিয়েই বসেন বাড়ির দিঘিরপাড়ে। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন উৎসুক লোকজন। দিঘির জলের দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। এরপর গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন তাঁদের ভিটায় এখন আনোয়ার সিকদার নামের এক ব্যক্তি ঘর তুলে বসবাস করছেন। একজন দেখিয়ে দেন তাঁর পৈতৃক ভিটা। সেখানে আনোয়ারের কুঁড়েঘরের বারান্দায় মাটিতে বসে পড়েন তিনি। এ সময় আর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সবার সামনেই কেঁদে ফেলেন।

নচিকেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৪৫ সালে আমার বাবা সখা রঞ্জন চক্রবর্তী সপরিবারে ভারতে চলে যান। কলকাতায় আমার জন্ম। এখানে এসেছি নাড়ির টানে। অনেক দিন ধরে এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি। সময় পেলে আবার গ্রামে আসব।’ উপস্থিত গ্রামবাসীকে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা আমার আপনজন।’


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!