কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের সরকারী রেজিষ্ট্রান প্রাপ্ত কপোতাক্ষী সমাজসেবা সংস্থার জমি অবৈধভাবে বিক্রয় ও আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়াগেছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের সরকারী রেজিষ্ট্রান প্রাপ্ত কপোতাক্ষী সমাজসেবা সংস্থার নামে সংস্থার সদস্যদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ৪১ নং চিংড়া মৌজায় ৬ নংখতিয়ানের ১৩১৩ নং দাগের ৬ শতক জমি ক্রয় করা হয়েছিল। কিন্তু ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও অদ্যবধি তা শেষ হয়নি। কিন্তু সমিতির বর্তমান সভাপতি জাফর হোসেন লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম উক্ত নির্মানাধীন ভবন-সহ জমি আতœসাতের উদ্দেশ্যে গোপনে যোগসাজসে সমিতির সদস্যদের না জানিয়ে চিংড়া গ্রামের আরশাদ আলী মোড়লের পূত্র মোস্তফা মোড়লের নিকট বিক্রয় করে দিয়েছে। যা কপোতাক্ষী সমাজসেবা সংস্থার সদস্যরা জানেন না। এদিকে মোস্তফা মোড়ল উক্ত ৬ শতক জমিতে পাঁকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করলে সরকারী রেজিষ্ট্রান প্রাপ্ত কপোতাক্ষী সমাজসেবা সংস্থার সদস্যদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য এবং কপোতাক্ষী সমাজসেবা সংস্থার জমি ফেরত পাওয়ার জন্য সমিতির সদস্যদের পক্ষ থেকে চিংড়া গ্রামের মৃত লিয়াকত আলী খাঁনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন কপোতাক্ষী সমাজসেবা সংস্থার জমি অবৈধভাবে বিক্রয় ও আতœসাতের অভিযোগ বিষয়ে ১২ এপ্রিল বেলা ১১ টায় শুনানী গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।