অনলাইন ডেস্কঃ
করোনার মাঝে ভারতের আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমা ওপর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে ১৬ জেলার হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল। ভিটেমাটি ডুবে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘর ছেড়েছেন হাজারো মানুষ।
সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ১৬ জেলার আড়াই লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। শুক্রবার ডিব্রুগড়ের তেঙ্গাখাটে বন্যার পানিতে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ১৬ জন- খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
শুক্রবার আসামের স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যের ৭০৪ গ্রামের ২ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ডিব্রুগড় ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত জেলার তালিকায় রয়েছে ধেমাজি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, উদালগুড়ি, দারাং, বাকসা, নলবাড়ি, কোকরাঝাড়, বরপেটা, নগাঁও, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবাসাগর ও তিনসুকিয়া।
আসাম রাজ্যসরকারের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, ১১ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নিচে। রাজ্য জুড়ে ১৪২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ১৮ হাজার বানভাসী মানুষ। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, শুধু মানুষেরই ক্ষতি নয়, এ বছর বন্যায় প্রায় দেড়লাখ গবাদিপশুরও ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখা গেছে, নিজেদের জিনিসপত্র ও গবাদি পশুদের সঙ্গে নিয়ে কোমরসমান জলের ওপর দিয়ে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন।
ভুটান ও ভারতের আসামসহ উত্তরপূর্বের অন্য রাজ্যগুলোতে টানা বর্ষণ চলছে। এর ফলে আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মাঝে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও ভারতে ব্যাপক অবনতি হচ্ছে দিনদিন।