তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও পুজা মন্ডপ ভাংচুর করেছে একদল লাঠিয়াল। তাদের হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলতলায় মঙ্গলবার রাতে এই হামলা হয় বলে শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান।
আহতরা হলেন নগেন্দ্র বাউলিয়া (৬০), সুভাষ বাউলিয়া (৪২), গোবিন্দ বাউলিয়া (৪০), যতীন বাউলিয়া (৩৮), মিলন বাউলিয়া (২০), নিত্যানন্দ (১৮), মমতা বাউলিয়া (২৫) ও তপন বাউলিয়া (৪৮)।
তাদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে স্হানীয়রা জানান।
ওসি নাজমুল হুদা বলেন, স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে আরেক পাড়ার ছেলের প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘর ও পুজা মন্ডপ ভাঙচুরের ঘটনা সহ হামলার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে ওসি জানান।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ডালিম কুমার ঘরামী বলেন, স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ গ্যারেজ ও ঈশ্বরীপুরের একদল দুর্বৃত্ত ফুলতলা গ্রামের সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন্দ্রনাথের বাড়ি ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়।
মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে শতাধিক হামলাকারী অতর্কিতে হামলা চালায়। স্থানীয়রা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও বৃষ্টির মতো নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলের কাছে এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে।ফুলতলা গ্রামের যতীন বাউলিয়া বলেন, স্থানীয় মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী কয়েকজন যুবককে বাধা দেয়ায় শতাধিক বিভিন্ন বয়সী লাঠিয়াল হামলা চালিয়ে তাদের পুজামন্ডপ ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদুজ্জামান সাঈদ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, শ্যামনগর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কৃষ্ণপদ মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন।
কালিগঞ্জ সার্কেলের এএসপি এম মোহাইমিনুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।