বিগত ২৩ বছর বয়সের আশা বানুর বিয়ে হয়েছিল কিশোরী বয়সে। ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে তার। স্বামীর সঙ্গে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ২০২২ সালে ছেলেকে কেড়ে নিয়ে স্বামী তাঁকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সন্তান হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।
আশা বানুর বাড়ি নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে। বাবার নাম মীর মোস্তাফিজুর রহমান, মা ফরিদা বেগম।
গত ১৬ মে রাত পৌনে আটটার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী গহোমাবোনা সীমান্তে পদ্মা নদীর ধারে আশা বানুকে পাওয়া যায়।
কথা বলতে না পারায় ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে আশা বানুকে আটক করে বিজিবি। অজ্ঞাত পরিচয়ে তার ঠাঁই হয় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।
কারা কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিক চেষ্টায় এক সময় কথা বলতে শুরু করেন আশা। পরিচয় জানালে কারা কর্তৃপক্ষ নওগাঁ থেকে খবর দিয়ে আনেন তার বাবাকে। মেয়েকে পেয়ে বাবা-মেয়ের কান্নায় উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এরপর আইনী প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (১ জুলাই) বিকেলে মুক্তি মেলে তাঁর।