মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন এর তল্লাবাড়িয়া গ্রামে গত ১৬ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খায়রুজ্জামান এঁর বাড়িতে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ খায়রুজ্জামান পিং মৃত হাজী মোঃ শাহাবুদ্দিন মোল্লা সাং তল্লাবাড়িয়া বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় গত ১৯ফেব্রুয়ারী একটি অজ্ঞাতনামা ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।মাগুরা পুলিশ মোঃ মশিউরদ্দৌলা রেজা (পিপিএম বার)এঁর দিকনির্দেশনায় একটি তদন্ত টিম গঠন করেন।পরে মাগুরা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মুন্সি রাসেল হোসেন সহ পুলিশের একটি চৌকস টিম গত মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় হতে উক্ত মামলার আসামি আলামিন(২৪) নামের এক আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে আটক করে।সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কান্দারকুল গ্রামের উজির মোল্লা ছেলে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক মহম্মদপুর উপজেলার ঘুল্লিয়া বানিয়াগাঁতী গ্রামের একটি বাগিচার মধ্যে থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পলিথিন দিয়ে পেচিয়ে গর্তের ভিতরে পুতে রাখা দেশীয় অস্ত্র বড় ছোরা-৩টি,১টি গ্রিল ভাঙার যন্ত্র,একটি শাবল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও জব্দ করে পুলিশ।এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক বোরহান উল ইসলাম জানান,,২০ মার্চ দুপুর১২ টা ৩০ মিনিটে মহম্মদপুর থানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি আরো জানান,,আটক ডাকাত সদস্যকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।এ মামলার অন্য আসামীদের ধরতে এবং ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।