বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রয়াত সাংবাদিক রবিউল আনোয়ার টমির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বাঘায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে সভাপতি রেজাউল, সম্পাদক শামসুল  মহম্মদপুর থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এসআই “নিক্কণ আঢ্য” সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মহম্মদপুরে মানববন্ধন রাজশাহীর দূর্গাপুরে আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তিন দিনের অবরোধ ঘোষণার পর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার লালমনিরহাটে মাদক বিরুদ্ধে অভিযানে ২০৬ টি ইয়াবা ও ০৩ গ্রাম হিরোইনসহ আটক -১ নওগাঁ জেলার ডেসটিনি বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশক ঐক্য ফোরাম (ডিডাফ) কমিটির গঠন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ভবানীগঞ্জে চালু হলো ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল চ্যালেঞ্জ জয় করে রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সফল কর্মীসভা সম্পন্ন রাজশাহীতে মৃত বৃদ্ধার পরিচয় সনাক্ত করলেন পিবিআই ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মোহনপুরে বিদায়ী ইউএনও আয়শা সিদ্দিকাকে সংবর্ধনা বিসিএস ক্যাডার হওয়া এক গর্বিত স্বপ্নের নাম,শাকিল খান রাজশাহীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত স্কুল ছাত্রছাত্রী  ৪ বছরে অর্জনের গৌরব, ৫ম বর্ষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মাগুরা জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা: মো: শামীম কবিরের ২ বছর পূর্ণ করায় শুভেচ্ছা জানানো হয় মাগুরায় উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন ও জনসম্পৃক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

দুর্নীতিবিরোধী বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

মাগুরার কথা ডেক্স / ৭৪০ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ১:৫৪ অপরাহ্ন

নিরঙ্কুশ বিজয় উদ্‌যাপনে আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

দলের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, বিজয় সমাবেশ হলেও এতে দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতাসহ সবার প্রতি দুর্নীতিবিরোধী বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সরকার কী কী করেছে, সামনে সরকারের অগ্রাধিকার কী, তা তুলে ধরবেন তিনি। গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নির্বাচিত সাংসদদের শপথ নিয়ে সংসদে আসার আহ্বান থাকতে পারে।

গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ২৫৭ আসনে জয়ের পর কোথাও কোনো বিজয় মিছিল করেনি আওয়ামী লীগ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে তা উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিজয় উদ্‌যাপনে শরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকছে না। শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের শ্রোতা হিসেবে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।

মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন টানা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ, ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার নেতা ও সাংসদদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। দফায় দফায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার পরিদর্শনের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিজয় সমাবেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বার্তা থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হবে। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সমাবেশস্থলে খাবার পানি, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে।

সমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতা-কর্মীদের মিছিলে বহন করে আনা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উদ্যানের ছয়টি গেটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতারা, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন। তিন নেতার মাজারসংলগ্ন গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট, টিএসসি গেট ও চারুকলার সামনের গেট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করবেন। সমাবেশের বিশাল প্যান্ডেলে প্রায় ৩০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে। 

১৪ দল আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেবে না

১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও এই সমাবেশে তাদের আনুষ্ঠানিক অংশগ্রহণ থাকছে না। তবে ১৪ দলের শরিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত আছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের দপ্তরকে জানিয়েছেন, শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। নির্বিঘ্নে অতিথি হিসেবে সমাবেশস্থলে প্রবেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের কাছে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের নামের তালিকাও পাঠানো হয়।

তবে গতকাল ১৪ দলের একাধিক শরিক দলের নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি। এই বিষয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা জানান, গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি। একই কথা জানিয়েছেন জাসদের (আম্বিয়া) সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন।

তবে সন্ধ্যায় জাসদের (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু জানান, ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষ থেকে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম জানান, তাঁকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে ফোন করে সমাবেশে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ দলের শরিক দলের একাধিক শীর্ষ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, শুধু শোনার জন্য সমাবেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের আগ্রহ কম। সাধারণত, আওয়ামী লীগের বড় কোনো কর্মসূচি থাকলে এর আগে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। এবার নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৪ দলের নেতারা একসঙ্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর বাইরে আর ১৪ দলের কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। ফলে সমাবেশে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয়ে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ হয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেউ কেউ গেলেও যেতে পারেন।

আওয়ামী লীগের দুজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশমঞ্চে শুধু আওয়ামী লীগের নেতারাই থাকবেন। বক্তৃতাও করবেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। ১৪ দলের নেতা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদদের জন্য সামনের সারিতে আসনের ব্যবস্থা করা হবে।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!