বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত রাজশাহী গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আরএমপি-পুলিশ কমিশনার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৭ বন্দীকে মুক্তি রাজশাহী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে আরএমপির কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত কেশরহাট এমপি পদপ্রার্থী রায়হানের লিফলেট বিতরণ ও পথসভা পাবনার, আটঘরিয়া উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে ২৫ (পচিশ) কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাজশাহীতে ১০২ কেজি গাঁজা উদ্ধার মোহনপুরের মৌগাছিতে এমপি পদপ্রার্থী রায়হানের লিফলেট বিতরণ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে দুর্নীতি পেলো দুদক আরএমপি’র মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত মোহনপুরে শ্যামপুরহাটে এমপি পদপ্রার্থী রায়হানের পথসভা বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ৪০ টি জেলা কমিটি গঠন রাজশাহীতে কাশিয়াডাঙ্গায় অস্ত্র ও গুলিসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেফতার বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টর রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা অফিস এর শুভ উদ্বোধন বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি র রাজশাহীর পবা উপজেলা অফিস এর শুভ উদ্বোধন বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি এর রাজশাহী জেলা অফিস এর শুভ উদ্বোধন বিয়ের ২০ বছর পর মা হলেও ১৪ দিনের মাথায় স্বামী হারিয়ে অসহায় খালেদা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন কর্নেল তানভীর হোসেন বাগমারার ফসলি জমিতে চেয়ারম্যানের অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে ইউএনও’র অভিযান রাজশাহী মহানগরীতে ছিনতাই মামলার অভিযুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি ডিবি লক্ষ্মীপুর আমজনগণ পার্টির ঈদ পূর্ণমিলনী
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

করোনার সঙ্গে সহাবস্থানই শ্রেয়

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ : কলাম লেখক, সাবেক সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান-এনবিআর / ৬৫০ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ১১:০৪ অপরাহ্ন

করোনার মতিগতি বুঝতে ও জুঝতে মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলো না। ঢেউয়ের পর ঢেউ বাড়ছে বৈ কমছে না। ‘শেষ হয়েও হলো না, বা হচ্ছে না’র পর্যায়ে যাওয়ার আগেই বাঁহাতি স্পিনারের মতো বিভ্রান্তিকর বল ছুড়ছেই করোনা, হাতেও উইকেট বেশি নেই, এখনো কত ওভারের খেলা বাকি বোঝা যাচ্ছে না ‘নো বল’ আর ওয়াইডের ছড়াছড়িতে।

আগের শীতে যিনি বলেছিলেন এপ্রিলে গরম শুরু হলে করোনা কৈলাশে ফিরে যাবেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এসে করোনা তাকেও ছুঁতে ছাড়ল না, নভেম্বরের নির্বাচনে তানার আর তখতে-তাউসে থাকা হলো না। প্রতিবেশী দেশের যে একটি মশহুর রাজ্যে স্বস্তির অবস্থা বিরাজ করছিল সেখানেও শোনা যাচ্ছে অবস্থা এখন ভয়াবহ।

করোনা কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজকে স্পর্শ করবে না-এমন একটা আবহ এতদিন ছিল, কিন্তু সেই গ্রামীণ সমাজেও এখন করোনা থাবা ঘরে ঘরে।

করোনাকে সবাই এখন দল-মত, বর্ণ-ধর্ম, রাজনীতি নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক ভাবতে শুরু করেছে। গত অক্টোবরে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার সুযোগ পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন ভ্যাকসিন আবিষ্কারকমণ্ডলীরা। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই করোনা পালাবার পথ পাবে না- এমন ধন্য আশা কুহকিনির কূলকিনারা মিলছে না।

ইতোমধ্যে ইথারে চাউর হচ্ছে করোনার কোয়ার্টার ফাইনালের পর্দা উঠবে। এমতাবস্থায় করোনাকে মোকাবিলার নতুন ছক আকার বিকল্প দেখা যাচ্ছে না। ভেবেচিন্তে দেখতে হবে, করোনা যখন থাকবেই আরো বেশ কিছুটা কাল তাহলে তার সঙ্গে সহাবস্থানের একটা সমঝোতায় যাওয়া যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ, লাখ-কোটি কর্মহীন বেকারের বাংলাদেশে লকডাউন যে করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর মোক্ষম পদক্ষেপ নয় তা তো স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিনকে দিন। সামাজিক দূরত্বের ধারণা দৈহিক দূরত্বের কার্যকর প্রতিস্থাপন নয়, সেটা এই সংবেদনশীল সমাজে বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেই চলেছে। বড় প্রয়োজন ছিল সংক্রমণ পরীক্ষা সহজলভ্য করে নেগেটিভ-পজিটিভ শনাক্ত করে, পজিটিভদের নেগেটিভওয়ালাদের থেকে আলাদা করা, (ধরা যাক ২৫ শতাংশ পজিটিভ, ৭৫ শতাংশ নেগেটিভ। শ্রেণিবিন্যাস করতে না পারায় ১০০ শতাংশকেই সাবধান হতে বলা হচ্ছে, ২৫ শতাংশ ক্রমে ৭৫ শতাংশকে সংক্রমিত করেই চলেছে তাকে চিহ্নিত করতে না পারার কারণে) তাদের জন্য সেবার সুযোগ তথা চিকিৎসা সুবিধা অবকাঠামো তৈরি করে সবার মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা, তাহলে স্বাস্থ্যবিধি পালনের নামে এত পাওয়ার প্লের প্রয়োজন পড়ত না। মানুষ তার সমস্যার সমাধানের লাগসই প্রযুক্তি বা উপায় খুঁজে বেড়ায়, ধাতস্থ হতে সময় নেয় তবে তাকে টেকসই করতে সক্ষম (এনাবলিং) পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বড় বড় বাঘা দেশ ও অর্থনীতি ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে রানার্স আপও হতে পারেনি। বড় বিচিত্র এ করোনা! প্রতিপক্ষ ভেবে তাকে দমনের নামে নেয়া কোনো পদক্ষেপই এখনো ভালো রান তুলতে পারেনি।

আম্পায়ারের ভূমিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো বিতর্কিত।
সুতরাং করোনার সঙ্গে সহাবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনযাপনের নতুন মডেল অনুসরণের বিকল্প দেখিনি। করোনার মতিগতি, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি এমনকি রাজনৈতিক অর্থনীতিতে তার প্রভাব-প্রতিক্রিয়া এবং ঝুঁকি পর্যালোচনা করেই এই সহাবস্থানের নীতিতে যেতে হবে। বিশ্বব্যাপী এটা এখন উপলব্ধির উপলব্ধিতে পরিণত হয়েছে যে, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চাল চালার জন্য করোনার উদ্ভব ও বিকাশ।
এর সঙ্গে ভূরাজনীতি, বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় মোড়লিপনার হাতবদল, পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংসের সুতা টানাটানি জড়িত। সুতরাং করোনা সহজে নির্মূল হওয়ার নয়।

অতীতের অন্যান্য মহামারির চেয়ে করোনার প্রকাশ্য পার্থক্য হলো এটি যতটা না প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট তার চেয়ে বেশি এটি ভেদবুদ্ধি প্রসূত বৈজ্ঞানিক গবেষণা সৃষ্ট, এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক অর্থনীতির রেজিলিয়েন্ট পাওয়ারসহ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক শক্তি-সামর্থ্য ধ্বংসকারী এবং অতীতের তুলনায় বর্তমানে মানুষের মবিলিটি মাইগ্রেশন সুযোগ বেশি হওয়ায় মানুষেরই ভেতরে ভাইরাসবাহী করোনা দ্রুত ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। সুতরাং করোনাকে সহসা সহজ ভাবার সুযোগ নেই।
করোনার সঙ্গে সহাবস্থানকল্পে জীবনযাপনের নয়া নীতি নির্দেশনাগুলো অবশ্য পালনীয় ও অনুসরণীয় এবং আটপৌরে জীবন ও অভ্যাস-সংস্কৃতির সঙ্গে স্থিতিশীল হওয়ার আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। নীতিমালার শুরুতেই তিনটি বিষয় বা অভ্যাসকে মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবে বিবেচনায় নেয়া জরুরি- সামাজিক নয়, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং ঘন ঘন হাত ধোয়া। এরপর কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা- (১) দৈহিক দূরত্ব ২ মিটার বা সাড়ে ৬ ফুট বা প্রায় ৫ হাত, (২) নিয়মকানুন মেনেই ঘরের বাইরে যেতে হবে, (৩) কারো সঙ্গে সরাসরি বা সামনাসামনি কথা বলা এড়িয়ে চলতে হবে, (৪) বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই হাত-মুখ ধোয়া ও পরনের কাপড় পাল্টাতে হবে, (৫) কারো হাত স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুতে হবে, (৬) অনলাইনে বাজার এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট করার চেষ্টা করতে হবে, (৭) সুপার মার্কেটে একজন করে বাজার-সওদা করা ভালো। মার্কেটে যে সময় লোকজন কম থাকে সে সময় যাওয়া চাই, (৮) কোনো নমুনা সামগ্রী না ছোঁয়া, (৯) পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চড়ার সময় কোনো কথা না বলা, (১০) যতদূর সম্ভব সাইকেলে চড়ে কিংবা হেঁটে কাজে যাওয়া, (১১) সভা-সেমিনার সম্মেলন অনলাইনে অংশগ্রহণ করা, (১২) সভায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সীমিতকরণ, সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত হওয়া এবং আলো-বাতাসের জন্য জানালা খোলা রাখা, (১৩) বাসায় বসে কাজ করা কিংবা অফ পিক পিরিয়ডে অফিসে যাওয়া, (১৪) যেসব দেশে বা স্থানে এখনো মহামারি বিরাজ করছে সেখানে ভ্রমণ না করা, (১৫) যখনই রোগের লক্ষণ টের পাওয়া যাবে তখনই ভাবতে হবে কোথায় গিয়েছিলেন, কার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটেছিল, (১৬) কারো সামনাসামনি না হয়ে পাশাপাশি বসে খাবার খাওয়া, (১৭) খাবার সময় কথা কম, শাকসবজি বেশি খাওয়া, (১৮) বদ্ধ ঘর বা জায়গা, বেশি ভিড়ভাট্টা এবং কারো সঙ্গে অন্তরঙ্গ মেলামেশা পরিহার করা, (১৯) নিজের সুস্থতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিদিন সকালে নিজের তাপমাত্রা মাপা, (২০) টয়লেট ফ্লাশ করার সময় ঢাকনা বন্ধ রাখা, (২১) কোনো সংকীর্ণ জায়গায় বেশিক্ষণ না দাঁড়ানো, (২৬) হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় বেশি লোক একসঙ্গে না। কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

করোনার সঙ্গে সহাবস্থান অবলম্বনের জন্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট পরিবেশে আর যা যা করণীয়-
দেশে-বিদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা ও ক্ষয়ক্ষতির বেহাল চিত্র দেখে আস্থাহীনতায় বাংলাদেশে আতঙ্ক, আশঙ্কা বেড়েই চলেছে, যা মানসিক অশান্তির উপসর্গ। অথচ মানসিক শান্তি বা মনের বল করোনার মতো ভয়াবহ মহামারি মোকাবিলার প্রাণশক্তি। আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে, কঠিন বাস্তবতায় করোনা মোকাবিলায় গৃহীত ব্যবস্থার স্বচ্ছতায় ও আন্তরিকতায় সবাইকে শামিল করতে পারলে গৃহীত সব পদক্ষেপে বিচ্যুতির পরিবর্তে সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে আস্থা ও জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে। প্রাচীনকাল থেকেই দেশকাল পাত্রভেদে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করতে সবার ভালোর জন্য জোরেশোরেই শুরু হলেও ‘সামাজিক দূরত্ব’ তৈরির কর্মসূচি কার্যকর হয়নি। মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী মহামারি নিয়ন্ত্রণে, মানুষকে উদ্ধারে সামাজিক সংহতির ভূমিকাই অগ্রগণ্য। এখানে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষীয় সংস্কৃতিতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ও সামাজিক বন্ধনরীতি যেখানে সুদৃঢ় সেখানে করোনা মোকাবিলায় আক্রান্তের সেবা-শুশ্রূষায় চিকিৎসাকর্মীর সমানুভূতি, পারিবারিক নৈকট্য, সামাজিক সহানুভূতি বিশেষ টনিক হিসেবে কাজ করবে।

অভ্যন্তরীণ বাজার চাঙ্গা রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য ও জীবিকা পরস্পরের হাত ধরে চলে। তাই করোনা মহামারি থেকে জনগণকে রক্ষায় স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ছোট-বড় ম্যানুফ্যাকচারিং, আমদানি-রপ্তানি, ব্যবসা বিপণন, কৃষি (খাদ্য, সবজি, মাছ, মাংস) উৎপাদন, পরিবহন, পর্যটন, সেবা ও আর্থিক খাতে পর্যায়ক্রমে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ উদ্যোক্তাদের করোনায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যথাযভাবে ডিজবার্স নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বিধান, সুশাসন কার্যকর ও নীতিনৈতিকতার অধিষ্ঠান জোরদার করা। করোনাকালে আমাদের বোধোদয় হচ্ছে সামনের দিনগুলোর নিয়ন্তা হবে ভার্চুয়াল যোগাযোগ সংস্কৃতির। ডিজিটাল প্রযুক্তি কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সময়ের চেয়েও এগিয়ে আছে, এটি একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। এই অবকাঠামোতেই বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা উদ্ভাবক দেশে এবং বিদেশে ভার্চুয়াল অর্থনীতিতে সফলতার সঙ্গে সংযুক্ত করতে মনোযোগ প্রয়োজন হবে।

সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারি খাতে (বিশেষ করে ব্যক্তি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা কর্মোদ্যোগে) বিনিয়োগের পাল্লা ভারি করতে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ নীতিমালায় সংস্কার ও নতুন নতুন পথ-পন্থার সমাবেশ ঘটানো এখনই জরুরি। বেসরকারি বিনিয়োগই কর্মসৃজন, ভোক্তা সৃষ্টি ও পোষণ, পণ্য ও সেবা উৎপাদনের হাতিয়ার। ব্যাংক ঋণ প্রবাহ সরাসরি ক্ষুদ্র, মাঝারিদের কাছে যাতে বিনা মাশুলে যাওয়া-আসা করতে পারে, বেল আউট-ইনসেনটিভ-প্রণোদনার সুযোগ-সুবিধা শুধু বড়রা বা মধ্যস্বত্বভোগীরা হাতিয়ে না নিতে পারে তার বিধান বা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!