কর্তৃপক্ষের অবহেলায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডের বাথরুমের পাইপ ফেটে মল-মুত্র ট্যাংকির উপরে পরে থাকছে। যার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তিরত অসুস্থ্য রোগী, মসজিদের মুসুল্লি ও রোগী দেখতে আসা দর্শনার্থীগণ দূর্গদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাম্পাসে টিকতে পারছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা দেখা যায়। যখন তখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাম্পাসে মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভ ও প্রায় সময় বর্হিঃগত একাধিক ক্ষমতাধারী ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা দেখা যায়। ঠিকমত বাহিরের বৈদ্যুতিক লাইটও বন্ধ করতে মনে থাকে না। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠিকমত ভালো গ্যাস্টিকের ঔষধ, ডায়াবেটিসের ঔষধ সহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ পাওয়া যায় না। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলেন সাপ্লাই নেই। না থাকলে কি করবো!
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা অফিসার (ইউএইচএফপিও) ডাঃ মোঃ রশিদুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাথরুমের পাইপ ফাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডায়াবেটিসের ঔষধ সবসময় থাকবেনা এটাই স্বভাবিক। গ্যাস্টিকের জন্য এন্টাসিড তো আছে। মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা কি আমাদের আন্ডারে চাকরী করে? ক্লিনিকের যারা আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি কিন্তু মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভ বাহিরের থেকে যদি তাদের কাজ করে তাহলে আমরা কিছু করতে পারিনা। তবে ভিতরে ঢুকলে আমরা তাদের নিষেধ করতে পারি। আমাদের তো এমন ব্যবস্থাপনা নেই যে ২৪ঘন্টা পাহারা দিবো? আমাদের অনেক প্রকার জনগণ ঘাটতি রয়েছে। তবুও আমি যখন রাউন্ডে বের হয় তখন মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভরা পালিয়ে যায়। এছাড়াও স্থানীয় কিছু লোকজন আছে তারাও এখানে এসে একটু সুযোগ সুবিধা নেয়। পরিশেষে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য করে বলেন, আপনি তো এই এলাকার লোক আপনি হাসপাতালের জন্য কি করেছেন বলে প্রশ্ন ছুড়ে মারেন!