ডেস্ক রিপোর্ট :রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাকশিয়ালী রাস্তার পাশে একটি শ্মশানের কাছে গাছে ঝুলন্ত ছিল শিশুটি। পথচারীরা দেখতে পেয়ে ব্যাগটি নামিয়ে দ্রুত শিশুটিকে নিয়ে যান স্থানীয় সার্জিক্যাল ক্লিনিকে। পরে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে শুরু হয় তার চিকিৎসা।
সামাজিকভাবে অপমানের ভয়ে নিজের সন্তানকে ফেলে দিয়ে গেলেন তার মা। অবৈধ মেলামেশার ফসল নিষ্পাপ শিশুটি কেন জন্মলগ্ন থেকেই নির্যাতনের শিকার হবে, এটাই এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা। যদিও পুলিশ বলছে অপরাধী মহিলাসহ জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, কুড়িয়ে পাওয়ার মাত্র ২-৩ ঘণ্টা আগে শিশুটির জন্ম হয়েছে। কে বা কারা তাকে ঝুলিয়ে রেখে যায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি শিশুটি সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে নিজ হেফাজতে রাখেন। এরই মধ্যে ফুটফুটে ছেলে শিশুটির ছবি ফসবুক ভাইরাল হয় যায়। ছবি দখ এই নবজাতককে দত্তক নিতে শুরু হয় হুড়াহুড়ি।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, এতক্ষন পর্যন্ত তার কাছে ৮টি আবেদন এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ আসছে। তিনি জানান, শিশুটিকে আরও একটু সুস্থ করে তুলবার পর ২-১ দিনের মধ্যে বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে দত্তক দেওয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। তবে, শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে।