কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাঙ্গাডা বড় বিলের মৎস্য ঘেরে দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সাথে মাছ চাষ করে আসছেন ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ বলে ঐ এলাকার জমির মালিক ও কৃষকরা জানান।
শনিবার দুপুরে ঘের পাড়ে গিয়ে জমির মালিক ও কৃষকদের নিকট থেকে জানা যায় প্রতি বছর ইরি ধানের ফসল উৎপাদন করে বাড়িতে নিয়ে যায় কৃষকরা। ৪০ টি সেলোমেশিন দিয়ে ঘের মালিকের সহযোগিতায় ঘেরের পানি সেচ দেওয়ার কাজ চলমান রেখেছেন ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ। পানি সেচ দেওয়ার কারণে ঘের মালিক আসাদকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জমির মালিকরা। ঘেরের জমির মালিক ও কৃষক সুকুমার মন্ডল, মিলন সরকার, কার্তিক কর্মকার,দেবদাস চক্রবর্তী, অরুপ বসু,চিত্ররঞ্জন গোলায়দার,সুভাষ মন্ডল,আছমত শেখ,রহিম গাজী,কমল গাজী,কেবাদাত আলী মোড়ল,সামাদ মোড়ল,লুৎফর রহমানসহ অনেক জমির মালিক ও কৃষকরা সাংবাদিকদের জানান, আমরা প্রতিবছর জমির হারি পেয়ে থাকি। তাদের জমির হারির টাকা সময় মত পরিশোধ করাসহ এই বিলে প্রতি বছর বৌরো মৌসুমে সময় আসলে ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ আমাদের বীজ তলা তৈরি করার সুযোগ করে দেন। এছাড়া সেলোমেশিন দিয়ে ঘেরের পানি সেচ দিয়ে ইরি ধান রোপণ করার সুযোগ করে দিয়ে থাকেন। আমরা প্রতি বছর এ বিল থেকে সুন্দর পরিবেশে ধান কেটে ঘরে নিয়ে যায়। যদি কোন প্রকৃতি দুর্যোগের কারণে ধান ক্ষেতে পানি জমে যায় তাহলে ঘের মালিক আসাদ তার নিজস্ব তহবিল থেকে পানি সেচ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া প্রতি বছর শেষ হওয়ার আগে আমাদের জমির হারির টাকা পরিশোধ করে দেন। তাদের কাছে জমি হারির দিয়ে ভালো আছি আমরা। শুধু তাইনয় প্রতি বছর ঘেরের মাছ ধরার সময় জমির মালিকদেরকে মাছ দিয়ে থাকেন ঘের মালিক আসাদ। ঘের মালিক আসাদ প্রায় ১ মাস আগে থেকে ৪০ স্যালো মেশিন দিয়ে গড়ভাঙ্গা বড় বিলের পানি সেচ দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তিনি তার নিজস্ব তহবিল থেকে এলাকার কাচা ও পাকা রাস্তা প্রতি মেরামত করে দেন। মৎস্য ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ বলেন,তিনি সুসম্মানের সাথে গড়ভাঙ্গা বড় বিলে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছে। ঐ বিলে ১হাজার বিঘা জমির ঘের রয়েছে সেলিমুজ্জামান আসাদের। তিনি জমির মালিকদের নিকট থেকে জমি হারি নিয়ে মৎস্য ঘরে মাছ চাষ করে চলেছেন। এছাড়া কেশবপুর উপজেলায় আরো অনেক মাছের ঘের রয়েছে তার। সে সব ঘেরের পানি সেচ দেওয়ার পর কৃষকরা ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন।