কেশবপুরে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টির ফলাফল জানা গেছে। এ ১০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন জামানত হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ২ জন, স্বতন্ত্র ৯ জন ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের ৮ জন প্রার্থী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া হাতপাখা প্রতীকের ৮ প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন। এছাড়া এক প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ২টি ভোট। কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় ফল জানা যায়নি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোন প্রার্থী না পেলে তিনি জামানত হারাবেন।
সে হিসাবে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শেখ অহিদুজ্জামান ১ হাজার ১৭৪ ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। এ ছাড়া ২৭৩ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কবির আলমগীরের।
সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত অলিয়ার রহমান নৌকা প্রতীকে ৫০৬ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৩৬৯ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম খান, ১৭১ ভোট পেয়ে আমানত আলী ও ২৮৪ ভোট পেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইসমাইল হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
মজিদপুর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল লতিফ খানের ৮৯৭ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হজরত আলী ৪৬৩ ভোট ও মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিজানুর রহমান মোড়ল ৭২২ ভোট এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম কামরুজ্জামান ১১০৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
পাঁজিয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল হামিদ ১৯৫ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিহির কুমার বসু ৭৫ ভোট, সুফলাকাটি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহি উদ্দিন মাত্র ২ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আহাদ ১৫৬ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
গৌরীঘোনা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিমুজ্জামান রানা ১৭৩ ভোট, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ৩৪৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী উত্তম ঘোষ ১৪১০ ভোট ও রেজাউল ইসলাম ১৩২৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে। হাসানপুর ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল গফফার ১২১ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় এসকল চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারালেন।