কেশবপুরে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে বেগুন চাষ করা হচ্ছে।বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির(এডিপি)আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ৩ শতক জমিতে এ বেগুনের আবাদ চাষ করা হয়।প্রথমবারের মতো আবাদ করা বেগুন ÿেতের বেগুন তুলে গত মঙ্গলবার পরিষদ এলাকায় বিচরণ হনুমানদের খাওয়ানো হয়।দীর্ঘদিন কলা রম্নটির পাশাপাশি টাটকা বেগুন পেয়ে হনুমান দল আনন্দে লাফালাফি করতে থাকে।উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,কয়েক শ বছর ধরে কেশবপুর সদর ও পাশের এলাকার ১ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৪০০ বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বাস করছে।বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর,হাসপাতা,পাইলট স্কুল এলাকা,ভোগতি নরেন্দপুর,মধ্যকুল,ব্রÿকাটি,রামচন্দ্রপুরসহ ১২টি এলাকায় তাদের বিচরণ রয়েছে। বন বিভাগ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন হনুমানের জন্য ৫৪ কেজি কলা,৮কেজি বাদাম,ও কেজি পাউরম্নটি দেওয়া হয়।তবে এত সংখ্যক হনুমানের বিপরীতে ওই খাবার সবার মাঝে পৌঁছায় না।এজন্য চলতি মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের পÿ থেকে এডিপির অর্থায়নে হনুমান রÿায় বেগুনের আবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। উপজেলা চত্ত্বরের ভেতর ৩ শতক জমিতে হনুমানের খাবারের জন্য রোপন করা হয় বেগুনের চারা। গত মঙ্গলবার প্রথমবার ওই ÿেত থেকে ৬ কেজি টাটকা বেগুন তোলা হয়।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন নিজ হাতে পরিষদ এলাকায় বিচরণ করা হনুমানদের খেতে দেন।৩০থেকে ৪০ টি হনুমানকে টাটকা বেগুন খাওয়ার সময় আনন্দে লাফালাফি করতে দেখা য়ায়।বেগুন খেতে দেওয়ার সময় উপজেলা কৃষি অফিসার ঝতুরাজ সরকার উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম মোস্ত্মফা জানান,কেশবপুরে প্রায় ৪০০ হনুমান বিচরণ রয়েছে।প্রতিদিন সরকারিভাবে হনুমানের জন্য ৫৪ কেজি কলা,৮কেজি বাদাম,ও কেজি পাউরম্নটি দেওয়া হয়।তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন বলেন,চলতি বছর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে যত্নসহকারে ৩ শতক জমিতে এ বেগুনের আবাদ চাষ করা হয়। গত মঙ্গলবার প্রথমবার ওই ÿেত থেকে কেজি টাটকা বেগুন তুলে হনুমানকে খেতে দেওয়া হয়েছে।২/৩দিন পর পর ÿেত থেকে বেগুন তোলা যাবে।এ ÿেতের উৎপাদিত সব বেগুন হনুমানগুলোকে খাওয়ানো হবে।