কেশবপুরের সাগরদত্তকাটি আমতলা মাছের ঘের দখল নিয়ে দু ‘পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি নিরসনে গত শুক্রবার ৪ ফেব্রম্নয়ারী বিকেলে সাগরদত্তকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরম্নমে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক সালিসি বৈঠক করেন সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন। এ সময় উভয় পক্ষের উত্তেজনায় সভা পন্ড হয়ে যায়।
এর আগে গত বুবধার ২ ফেব্রম্নয়ারী বিকেলে বিষয়টি নিরসনে সাগরদত্তকাটি আমতলা মাদ্রাসা মাঠে শতাধিক কৃষকের উপস্থিততে সভা হলেও প্রতিপক্ষ কৃষকরা কেউ উপস্থিত হয়নি। জানা গেছে কেশবপুর পৌর এলাকার আলতাপোল গ্রামের কামরম্নজ্জামান বিশ্বাস ২০১৬ সালে সাগরদত্তকাটি আমতলা বিলের ৩১০ বিঘা জমি এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে ৫ বছর মেয়াদে চুক্তিপত্র করে মাছের ঘের করেন।যার হারি গ্রহণ করেন ১৮০ জন জমির মালিক কৃষক।আগামী ৩০ চৈত্র ঘেরটির চুক্তিপত্রে মেয়াদ শেষ হবে। ঘেরের মেয়াদ দেড় বছর থাকাকালে ঘের কমিটির সভাপতি কিতাব্দী গোলদার ও তার ছেলে আমিনুর রহমানসহ ৫,৭ জন যুবক ঘেরটি কেশবপুরের অপর ঘের মালিক কেরামত গাজীর কাছে হস্ত্মান্ত্মরে জন্য যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘেরের জমির মালিক ও তাদের ওয়ারেশগণসহ ২৫৩ জন কামরম্নজ্জামান বিশ্বাসের চুক্তিপত্রে স্বাÿর করে পুনরায় আগামী ৫ বছরের জন্য ঘেরটি লিজ প্রদান করেন।সে মোতাবেক জমির মালিকরা তার কাছ থেকে হারির টাকা বুঝে নেন। যে চুক্তিপত্রে ঘের কমিটির সভাপতি কিতাব্দী গোলদারসহ ১১ জন জমির মালিক স্বাÿর না করে ঘের মালিক কামরম্নজ্জামান বিশ্বাসকে উচ্চেদ করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। এ হয়রানির হাত থেকে রÿা পেতে কামরম্নজ্জামান বিশ্বাস মনিরামপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ অভিযোগের ভিক্তিতে গত শুক্রবার বিকেলে সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন ওই ঘেরের বিরোধ নিরসনে উভয় পÿের কৃষকদের নিয়ে এক সালিসি বৈঠক করেন। সভায় প্রায় ৯০ ভাগ লোক ঘেরটি আগামী ৫ বছরের জন্য কামরম্নজ্জামান বিশ্বাসের মতামত দিলেও কৃষকদের উত্তেজনায় তিনি সভাস্ত্মর ত্যাগ করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দীন,কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জ্জামান খান,এস আই তাপস কুমার রায় প্রমুখ।