কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এদিন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫০ বার তোপধ্বনি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ এবং ডায়বেটিস পরীক্ষা করানো, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, প্রধানমন্ত্রীর শপথ পাঠে অংশগ্রহণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসব অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন প্রমুখ।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। সকালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন- উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, কেশবপুর প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
পরে উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ, ডায়বেটিস পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানসহ বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দিবসটি উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।