কেশবপুরে শহর রÿা বাঁধের মাটি কেটে বিক্রিসহ রাস্ত্মা নষ্ট করার অভিযোগে এক মাটি ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ পুনরায় ওই স্থান মাটি দিয়ে ভরাটের নির্দেশনা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
গত শনিবার ১৯ মার্চ দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেছেন। মাটি দিয়ে পুনরায় বাঁধটি ভরাট না করলে আগামী বর্ষাকালে নদী উপচে পানি শহরসহ ২টি ইউনিয়নে বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। এলাকাবাসী জানায়,২ বছর আগে কেশবপুর শহরের অভ্যন্ত্মর দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর নদী খনন করা হয়।বন্যা নিয়ন্ত্রণে ওই মাটি দিয়ে শহর রÿা বাঁধ নির্মাণ করা হয়।এনদী দিয়ে মনিরামপুর,কেশবপুরসহ ৪ উপজেলার বর্ষার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হয়।স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মধ্যকুল শেখপাড়া ও কর্মকারপাড়ার হরিহর নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি মনিরামপুরের চিনাটোলা এলাকার মাটি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন।গত এ সপ্তাহ ধরে ওই ব্যবসায়ী ১০/১৫ জন শ্রমিক দিয়ে বাঁধের মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় ট্রলিতে করে বিক্রি করছেন। ট্রলিতে করে মাটি বহনের কারণে গ্রামীণ রাস্ত্মাও দেবে নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসি মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে ওই মহলটি বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। পৌরসভাসহ দুটি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলা সহকারী কমিশিনার (ভূমি কে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, মধ্যকুল শেখ পাড়া ও কর্মকারপাড়ার ফারম্নক খন্দকার ও রেনুকা বালা নামের দুই ব্যক্তির কাছ থেকে মাটি কিনে নিয়েছেন।এই মাটি তিনি বিভিন্ন ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন। ৪/৫ বছর ধরে তিনি মাটির ব্যবসার সাথে জড়িত।এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান বলেন,বাঁধের মাটি কেটে বিক্রির দায়ে মাটি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ বাঁধের কেটে নেয়া মাটি পুনরায় ভরাটের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।