কেশবপুরে সন্ত্মানের বিরম্নদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করে বৃদ্ধা মা সায়রা বেগমের পক্ষে ভাবি ও দুই বোন হয়রানি করছে বলে এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে হয়রানির শিকার উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম।
অভিযোগের বিষয় মা সায়রা বেগম কিছুই জানেনা বলে দাবি করেন। গত বুধবার রাতে কেশবপুর উপজেলার দোরমুটিয়া বাজারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে রবিউল ইসলাম বলেন,দোরমুটিয়া গ্রামের মৃত কাওছার সরদারের ২ পুত্র রফিকুল ইসলাম (৪৮),রবিউল ইসলাম (৪৫) ২ মেয়ে তসলিমা বেগম (৩৫) ও আকলিমা বেগম (৩২)। রফিকুল ইসলাম ছোট বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে নিরম্নদ্দেশ হয়ে যায়। এক সময় সে বিদেশে পাড়ি জমায়। ইতোমধ্যে দুই বোনকে বিয়ে দেওয়ার পরে স্বামীর বাড়িতে যায়। পিতা মাতাকে সাথে নিয়ে রবিউল ইসলামের সংসার জীবন শুরম্ন। রবিউল ইসলাম আরো জানায় তার পিতার বসতবাড়ির ৬ শতক জমি ছাড়া আর কিছু নেই। সে দিনমজুরি করে পিতামাতাকে নিয়েই তার সংসার চলে। রফিকুল ইসলাম ইতিমধ্যে উপজেলার ভালুকঘর গ্রামে,রজব আলী মোড়লের মেয়ে সখিনা বেগম কে বিয়ে করে প্রথমে ঘরজামাই থাকে ও পরবর্তীতে সেখানে নিজে জমি কিনে স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে বসবাস করে। বাবা-মার কোনো খবর রাখে না সে। রবিউল ইসলাম পিতা মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করার কারণে পিতা কাওসার সরদার তার শেষ সম্বল ভিটা বাড়ির ৬ শতক জমি গত ১৫ বছর পূর্বে রবিউল ইসলামের নামে দলিল করে দেয়। গত দেড় বছর পূর্বে পিতা সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এবং মা সায়রা বেগমও দুই বারষ্টোক করে প্যারাইস্ট হয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। তাদের চিকিৎসা খরচ যোগাতে তার মা পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা দেয় রবিউলের হাতে। ওই টাকা দিয়ে পিতা মাতার চিকিৎসা সেবায় ব্যায় করে রবিউল ইসলাম। এরমধ্যে গত ৪/৫ মাস আগে তাদের পিতার মৃত্যু হওয়ায় মা আরো অসুস্থ হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। গত কিছু দিন পূর্বে রবিউল ইসলামের ভাবি সখিনা বেগম (৩৫), তার ভাইপো রাশেদুল ইসলাম (২৩), তার দুই বোন তসলিমা বেগম ও আকলিমা বেগম রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে জোর করে তার মা সায়রা বেগম(৬৫)কে প্রবাসি রফিকুল ইসলামের ভালুকঘর বাড়িতে নিয়ে যায়। রবিউল ইসলাম মাঝে মধ্যে তার অসুস্থ মাকে দেখতে যায়। কিন্তু তার পরেও দুই বোন ও ভাবির যোগসাজশে মায়ের নাম ব্যাবহার করে রবিউল ইসলামের বিরম্নদ্ধে টাকা আত্মসাত ও জোরপূর্বক জমি দলিল করে নেওয়ার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভালুকঘর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করে তাকে হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উলেস্নখ করেন। রবিউল ইসলামের বিরম্নদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেন। এব্যাপারে ভালুকঘর ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন,উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করা হয়ে ছিল। তাছাড়া তারা চাঁদড়া গ্রামে মামা আবুল কাশেমের বাড়িতে যায় মায়ের পৈত্রিক জমাজমি বিক্রি করার চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনের সময়ে দোরমুটিয়া গ্রামের রহমত আলী, আঃ লতিফ, নজরম্নল ইসলাম, ফরিদ, ইউপি মেম্বার কামাল হোসেন সহ গ্রামবিসীর অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।