কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামের বলধালী বিলের একটি মৎস্য মাছের ঘেরে দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সাথে মাছ চাষ করে আসছেন ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ বলে ঐ এলাকার জমির মালিকরা জানান।
শনিবার দুপুরে ঘের পাড়ে গিয়ে জমির মালিকদের নিকট থেকে জানা গেছে প্রতি বছর ইরি ধানের ফসল উৎপাদন করে বাড়িতে নিয়ে যায় কৃষকরা।জমির মালিক ও কৃষক আসাদ মোড়ল,কালীপদ বিশ্বাস,নূর আলী সরদার,অশোক বিশ্বাস,আব্দুল গফুর খাঁ,মিজানুর রহমান,অমিত বিশ্বাস,গৌবিন্দ বিশ্বাস,তৌহিদুর গাজী,আহাদ আলী,বরিয়ান গাজী,ওলিয়ার রহমান,কাশেম খাঁ,ফারক সানা,আহাজার গাজী,মিনিত বিশ্বাসসহ অনেক জমির মালিক জানান,বলধালীর সাচির বিলে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে কোন ফসল উৎপাদন হতো না। ফসল না হওয়ায় কৃষকদের পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এ সময় সেচ দিয়ে বোরো আবাদের শর্তে সাচির বিলের ৭০ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমি কেশবপুরের ঘের ব্যবসায়ী সেলিমুজ্জামান আসাদকে ৬ বছরের জন্যে চুক্তিপত্র করে দেয়। যার ক্যানেল বেঁড়ি ৪৫ হাজার, সাদা জমি বিঘা প্রতি ১৪ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়।কৃষকরা আরো বলেন তাদের জমির হারির টাকা সময় মত পরিশোধ করাসহ এই বিলে প্রতি বছর বৌরো মৌসুমে সময় আসলে ঘের মালিক আসাদ আমাদের বীজ তলা তৈরি করার সুযোগ করে দেন। এছাড়া সেলোমেশিন দিয়ে ঘের পানি সেচ দিয়ে ধান রোপণ করার সুযোগ করে দেন। আমরা প্রতি বছর এ বিল থেকে সুন্দর পরিবেশে ধান কেটে ঘরে নিয়ে যায়। যদি কোন প্রকৃতি দুর্যোগের কারণে ধান ক্ষেতে পানি জমে যায় তাহলে ঘের মালিক আসাদ তার নিজস্ব তহবিল থেকে পানি সেচ করে দিয়ে থাকেন। তাছাড়া বছর শেষ হওয়ার আগে আমাদের জমির হারির টাকা পরিশোধ করে দেন। তার কাছে আমরা জমি হারির দিয়ে ভালো আছি। মৎস্য ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ বলেন,আমি সুস্মাম্মানের সাথে বলধালী বিলে মাছ চাষ করে আসছে। এছাড়া কেশবপুর উপজেলায় আরো অনেক মাছের ঘের রয়েছে আমার। সে সব ঘরের পানি সেচ দেওয়ার কাজ চলমান রেখেছেন।