কেশবপুরে সড়ক পাঁকাকরণের কাজ শেষ করার একদিন পরেই দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে একটি সড়ক ভেঙ্গে দিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ওই সড়কটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কেশবপুর সদর ইউনিয়নের মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষের ভেতর দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। খবর পেয়ে রোববার সকালে ওই সড়কে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হলে শত শত মানুষ জড় হয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিচার দাবি করেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৪৫০ ফুট কাঁচা রাস্তায় ইটের সোলিং বসিয়ে পাঁকা করা হয়। শুক্রবার ওই কাজ শেষ করার পর দুর্বৃত্তরা শনিবার রাতে ইমামুল হকের জমির পাশ থেকে মাটি কেটে নিচু করে সড়কটি ভেঙ্গে দেয়। রোববার সকালে এলাকার মানুষ ভেঙ্গে ফেলা রাস্তা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত হয়ে ৬ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা’র নিকট দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা নিরাঞ্জন দাস (৭০) বলেন, প্রায় দুইশত বছরের রাস্তাটিতে ইট বসানোর কারণে এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য খুবই ভালো হয়েছিল। রাতের আঁধারে যারা সড়কটি নষ্ট করেছে তারা কেউ এ কাজ করতে পারে না। একই গ্রামের গৃহবধূ সূচিত্রা রাণি বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে সড়ক ভেঙ্গে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মৃনাল কান্তি দাস বলেন, রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা রাস্তাটি ভেঙ্গে দিয়েছে। ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাজমা বেগম বলেন, এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকীর বাড়ির পাশ থেকে মাদারডাঙ্গা থান অভিমুখে প্রায় ৪৫০ ফুট রাস্তায় ইট বসানো হয়েছিল। শুক্রবার কাজটি সম্পন্ন হয়। একদিন পরেই অজ্ঞাত ব্যক্তিরা রাস্তার পাশের মাটি কেটে ইট সরিয়ে সড়কটি নষ্ট করে দেয়। এ ব্যাপারে কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা বলেন, কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটিতে ইটের সোলিং দিয়ে পাকাকরণ করা হয়। সড়কটি ভেঙ্গে ফেলার খবর পেয়ে রোববার সকালে ওই স্থানে হাজির হই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।