শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মাগুরায় লিচু ফুলের মধু আহরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাবিতে মাগুরা জেলা সমিতির সভাপতি শুভ শিকদার সম্পাদক মোঃ আল আমিন মাগুরায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চুড়ান্ত সুপারিশ পেলেন ৩৫ জন মহম্মদপুরে রাজপাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার উদ্বোধন শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন সরকার এ্যাডঃ সাইফুজ্জামান শিখর এমপি মাগুরায় “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত” বসন্ত এসে গেছে মাগুরায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ মহম্মদপুরের দক্ষিণ মৌশা গ্রামে ৩৪ জন বিধবা,প্রতিবন্ধী সহায় সম্বলহীনদের মাঝে  অনুদান প্রদান মাগুরা সরকারি শিশু পরিবার বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কনকনে ঠাণ্ডার মাঝে মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম! বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হোসেন কল্যাণ ফাউন্ডেশন (প্রস্তাবিত)এর উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ মাগুরার মহম্মদপুরে ৬টি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযোগ্য মর্যাদায় মাগুরায়  মহান বিজয় দিবস-২০২২ পালিত  মাগুরায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দের মতবিনিময় মহম্মদপুরে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক মহম্মদপুরে ১৬ ডিসেম্বর উদযাপনের লক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মহম্মদপুরের খালিয়া গ্রামে ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে মাগুরা পুলিশ সুপারের মতবিনিময় মাগুরা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে শিশু, কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
Notice :
প্রিয় পাঠক   দৈনিক মাগুরার কথা   অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বস্তু নিষ্ঠ তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রচার করতে আমরা বদ্ধ পরিকর ।  বি:দ্র : এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা,  ছবি ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি । এখানে ক্লিক করুণ Apps  

ক্ষেতে পিস ৫০ টাকার ঝিকরগাছা বাজারে একটি শূন্য বাড়িয়ে তরমুজ ৫০০ টাকা !

শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা যশোর / ১১৭ বার পঠিত হয়েছে।
নিউজ প্রকাশ : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৩২ অপরাহ্ন

ক্ষেতে পিস ৫০ টাকার ঝিকরগাছা বাজারে একটি শূন্য বাড়িয়ে তরমুজ ৫০০ টাকা ! অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বছরের রসালো ফল তরমুজ। চলছে সিয়ম সাধনার রোজার মাস, সেই সঙ্গে বৈশাখের কাঠফাটা গরম। আর গরমে রোজার দিনে পানিজাতীয় ফলের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে বেশি। এ সময় অনেকেরই পছন্দ তরমুজ। শরীর ঠাণ্ডা করে আবার গলাও ভেজায় এই ফল। রোজায় ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে রসালো ফল তরমুজের। বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত হওয়া এই মৌসুমী ফলটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। কখনও কখনও কৃষক নিজেই ক্ষেত থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে। আবার কখনও তরমুজ ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে। এরইমাঝে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বেশি মুনাফার আশায় তরমুজের উৎপাদন খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাভে বিক্রি করছে ভোক্তার কাছে। তরমুজ চাষি ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি তরমুজ ছোট-বড় সাইজ অনুযায়ী গড়ে চাষিদের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সাইজ অনুযায়ী চাষীরা দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ লাভে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করে পাইকারদের নিকট। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেই তরমুজ সরবরাহ করতে পাইকারদের খরচ হচ্ছে আরও ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। পাইকররা সেই তরমুজ খুচরা বিক্রেতাদের নিকট আকার ভেদে ১৫০ থেকে ২৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। এদিকে খুচরা বিক্রেতারা সেই তরমুজ দ্বিগুণ দামে বিক্রি করেন। খুচরা বিক্রেতারা ২০০ টাকার তরমুজ (আড়ৎ ও পরিবহন খরচ সংযুক্ত) বিক্রি করে ৩৫০ টাকা থেকে ৪শ’ টাকায় আর ৩০০ টাকার তরমুজ (আড়ৎ ও পরিবহন খরচ সংযুক্ত) কিনে সেটি বিক্রি করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এভাবেই চাষী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌছতে প্রতিটি তরমুজের দাম বেড়ে যায় প্রায় ৮ থেকে ১০ গুণ। যশোরের রুপদিয়ায় তরমুজ বিক্রি করতে আসা পাইকার আনোয়ার হোসেন জানান, আমার ভাই এ বছর ৩ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এতে সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এবছর ফলন একটু কম হয়েছে, তাতে দেড় হাজারের বেশি তরমুজ হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের উৎপাদন খরচ ৩৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত হয়। সেই তরমুজ আমি দেড়লাখ টাকায় কিনে পাইকারি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। ছোট তরমুজ ৮০-৯০ টাকা, মাঝারি তরমুজ ১৪০-১৮০ টাকা ও বড় তরমুজ ২৪০-২৮০ টাকা পিছ হিসেবে বিক্রি করি। তবে খুচরা বিক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কিনে নিয়ে ডাবল দামে বিক্রি করে। খুচরা বিক্রেতারা একটু বেশি লাভ করে। এজন্য ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে পৌাছাতে তরমুজের দামি এত বেড়ে যায়। ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফল পট্টিতে তরমুজ কিনতে আসা ভ্যানচালক হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাজারে তরমুজের দাম অনেক বেশি। বাড়তি দামে তরমুজ কেনার সামর্থ্য নেই। অতিরিক্ত দামের কারণে ইচ্ছে থাকলেও এ বছর এখনো সন্তানদের তরমুজ খাওয়াতে পারিনি। শান্তি নামের আরেক ক্রেতা বলেন, এই গরমে রোজা রেখে ইফতারের সময় তরমুজ খেতে ভালো লাগে। পরিবারের লোকজনও তরমুজ খেতে ভালোবাসে। তাই দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়েই তরমুজ কিনতে হচ্ছে। দুই মহিলাকে একটি তরমুজ কিনে দু’ভাগ করে নিতে দেখা গেল। অতিরিক্ত দামে এবং কেজি দরে তরমুজ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, তরমুজ পচনশীল ফল। বেশীদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়না। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বড় তরমুজের ভেতর ছোট তরমুজ ঢুকিয়ে দিয়ে বেশী দামে বিক্রি করে। এছাড়া আড়ৎদারদের কমিশন ও পরিবহন খরচতো আছেই। সেই দাম ওঠাতে গিয়ে তরমুজ একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। অধিকাংশ মানুষই মনে করে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে জনগনকে ঠকানো হচ্ছে। এব্যাপারে তারা ভোক্তা অধিকার আইনে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ মানুষ।


এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের সবখবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!