অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সারাদেশের ভেতর প্রথম হয়েছে যশোর জেলা। আর যশোর জেলায় উপজেলা ভিত্তিক প্রথম স্থান অধিকার করেছে কেশবপুর। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অনলাইন ভিত্তিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রথম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। এটিকে আরও কার্যকর ও সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহী করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে যশোর জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের মধ্যে যশোর জেলা শীর্ষে রয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রথম হয়েছে যশোর জেলা। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে পাবনা ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নাটোর জেলা। অপরদিকে যশোর জেলার মধ্যে কেশবপুর উপজেলা প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে চৌগাছা ও তৃতীয় হয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা। এরপর পর্যায়ক্রমে শার্শা, মণিরামপুর, ঝিকরগাছা, অভয়নগর ও যশোর সদর উপজেলা রয়েছে ।কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সকলকে উৎসাহী করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রথম স্থান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, এ অর্জনকে ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।