দাঁতের ব্যথার কষ্ট সহ্য করা অসম্ভব। এই ব্যথা শুরু হলে যেকোনো মূল্যে উপশম পেতে চান ভুক্তভোগীরা। দাঁত ভালো রাখার জন্য বা দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সব সময় সচেতন থাকা জরুরি। যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারের প্রতিও। খাবারের তালিকা থেকে এমন সব খাবার বাদ দিতে হবে, যেগুলো দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য বাদ দিতে হবে-
মিষ্টি খাবার
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার দাঁতের সমস্যা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। তাই বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কিংবা পানীয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, মিষ্টি পানীয় পান করলে বা মিষ্টি খাবার খেলে দাঁতের অ্যাসিডিক ক্ষতি হয়। তাই এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। কোমল পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, কৃত্রিম ফলের রস, এনার্জি ড্রিংক, স্মুদি ইত্যাদি বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।
ড্রাই ফ্রুটস
ড্রাই ফ্রুটস সুস্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক একথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু এটি কি দাঁতের জন্য ভালো? বিশেষ করে আপনার দাঁতে যদি সমস্যা শুরু হয়ে থাকে তবে অবশ্যই ড্রাই ফ্রুটস এড়িয়ে চলতে হবে। এপ্রিকট এবং কিশমিশ জাতীয় শুকনো ফল এড়িয়ে চলবেন, এমনটা পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এর মিষ্টি এবং আঠালো টেক্সচার দাঁতের ক্ষতি করে থাকে। তাই দাঁতের সুরক্ষার স্বার্থে এগুলো খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
আলুর চিপস
আলুর চিপস এমনিতেই খুব একটা স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। কারণ স্টার্চি যেকোনো খাবারই দাঁতে আটকে যেতে পারে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। আলুর চিপসও স্টার্চি জাতীয় খাবার। তাই আলু দিয়ে তৈরি চিপস থেকে দূরে থাকবেন। এতে আপনার দাঁত থাকবে সুস্থ।
ক্যান্ডি
ক্যান্ডি খেতে পছন্দ করে না এমন শিশু হয়তো পাওয়া যাবে না। শিশুর পাশপাশি বড়রাও খেতে পছন্দ করেন সুস্বাদু এই মিষ্টি জাতীয় খাবার। কিন্তু এই ক্যান্ডিই হতে পারে দাঁতের ক্ষতির কারণ। হার্ড ক্যান্ডি, আঠা ক্যান্ডি, চকোলেট ইত্যাদিতে অস্বাস্থ্যকর চিনি মেশানো থাকে। স্টিকি ক্যান্ডি দাঁতে আটকে গিয়ে সেখান থেকে দাঁতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। তাই ক্যান্ডিও বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।
মদ
মদ্যপান করা কোনো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। আপনি যদি মদ্যপান করে থাকেন তবে তা বাদ দিতে হবে। কারণ এটি আপনার দাঁতে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। মদ্যপান করলে দাঁত হলুদ হয়ে যায় এবং দাঁতে দাগ পড়ে। মদ্যপান করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন।