ব্যবসায়ীদের লাগাতার বিক্ষোভ ও দাবির মুখে করোনাকালীন চলমান লকডাউনে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা হলে আইন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সময়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ৭ দিনের এ লকডাউন চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
লকডাউনে শিল্প-কারখানা ও নির্মাণকার্য চালু রাখার পাশাপাশি সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস-আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে সচল রাখারও নির্দেশনা দেয় সরকার।
গেল বছর করোনাকালীন দীর্ঘ সময় উপার্জনহীন থাকা ব্যবসায়ীরা এবার লকডাউনে সবকিছু খোলা রেখে শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু থেকেই রাস্তায় নামে। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জীবন-জীবিকার তাগিদে কোথাও কোথাও দোকানপাট খোলা রাখতেও দেখা যায়। রাজধানীর গুলিস্থান-নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কদিন ধরেই দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করছিলেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, লকডাউনে গণপরিবহনসহ সবকিছুই যদি খোলা রাখা হয় তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট কেন খুলতে দেয়া হবে না। তারা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে অপরিকল্পিত ও পক্ষপাতমূলক বলেও দাবি করেন।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দুদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কর্মজীবী মানুষের চরম ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গতকাল বুধবার থেকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকাসমূহে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুর থেকে ঢাকার ভেতরে অবাদে গণপরিবহন চলাচল করছে।