ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ড দগ্ধ রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা। একের পর এক দগ্ধ রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। মেডিকেলের বার্ন ইউনিটটি বন্ধ থাকায় প্রকৃত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে ৭৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় অন্য বিভাগে চলছে রোগীর চিকিৎসা। তবে সেখানে বার্ন স্পেশালাইজড ডাক্তার বা নার্স না থাকায় যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে শংকিত রোগীর স্বজনরা। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০২০ সালে নগরীর কালীবাড়ি রোডে বেসরকারি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ১ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ওই বিভাগে কোনো চিকিৎসক দেয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসকহীনতায় হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে লঞ্চে অগ্নিকান্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হচ্ছে। ভোররাত থেকে বিকালা পর্যন্ত দগ্ধ ৭৮ জনকে এ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তিন ইউনিটে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। ওই তিন ইউনিটে আগে থেকেই রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। এতে শয্যা সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক দগ্ধ রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগটি বন্ধ রয়েছে। তাই হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের তিন ওয়ার্ডে ৫০ জন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দগ্ধ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তবে সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্য হাসপাতাল থেকে ডাক্তার এনে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।