নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী অভিজিৎ ঢালী ৩৮ তম বিসিএসে এডমিন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ছেন।
অভিজিৎ ঢালী বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামের এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। দুইভাই ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। বড়ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন।
অভিজিৎ ঢালী অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন বশেমুরবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগ (২য় ব্যাচ) থেকে। সদ্য প্রকাশিত ৩৮ তম বিসিএসে পেয়েছেন প্রশাসন ক্যাডার। ৪০ তম বিসিএসেও দিয়েছেন লিখিত পরীক্ষা। বিসিএস জয়ের গল্প বলতে গিয়ে তিনি জানান,
গল্পটা এত সোজা ছিলো না তার জন্য, বাবা মোংলা বন্দরের সামান্য বেতনের একজন সরকারি কর্মচারী। পরিবার স্বচ্ছল ছিলোনা। প্রান্তিক জায়গা থেকে উঠে এসেছেন। কোচিংয়ে শিক্ষকতা এবং টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ নিজকেই চালাতে হত। এভাবে জীবনের সাথে সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেক সময় অনেক ধরনের ধাক্কা খেতে হয়েছে। চড়াই-উৎরাই পার হয়ে ওঠানামা করেই সংগ্রামটা চালিয়ে যেতে হয়েছে।
সন্ধিক্ষণঃ
ছোটবেলা থেকেই অনেক ধরনের বড় স্বপ্ন ছিলো। অনার্স এর পর মাস্টার্সে যখন পড়ি, তখন একটা বড় ধাক্কা খাই। এরপর সিদ্ধান্ত নেই যেভাবেই হোক, যে কোন মূল্যে ভালো কিছু করতে হবে। প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি খুব একটা ভালো ছিলোনা, প্রাক-বাছাইয়ে যখন টিকলাম তখন রিটেনের জন্য উঠে পড়ে লাগলাম। আমার বড়ভাই এবং আরো অনেক পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষী বড়ভাই হ্যান্ডনোট-পরামর্শ দিয়ে অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। লিখিত ভালো হল। এরপর মৌখিক দিলাম, সেটাও ভালো হল।
ধৈর্য্য ও একাগ্রতা নিয়ে লেগে থাকতে হবেঃ
কোনকিছু অর্জন করতে হলে তার পিছে লেগে থাকতে হবে। বিসিএস লম্বা প্রক্রিয়া, অনেক সময় লাগে। আমার তিনবছর লাগলো। একাগ্রতার সাথে ধৈর্য্য নিয়ে লেগে থাকতে হয়েছে। এই কাজকেই গুরুত্ব দিতে হয়েছে। অন্যকিছু তোয়াক্কা করা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। আর যে কোন কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। পারিপার্শ্বিক ও মানসিক চাপ থাকে। সেগুলোকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হয়।
বিসিএস প্রত্যাশীদের জন্য পরামর্শঃ
দুটো নৌকায় পা দেওয়া যাবেনা। একাধিক লক্ষ্য নির্ধারণ করলে প্রচেষ্টা বহুমাত্রিক ও বিচ্ছিন্নভাবে হয়ে যায়। লক্ষ্য একটা হলে তা পূরণ করতে সহজ হয়। নিজের আগ্রহ অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। চাকরির প্রস্ততি অনার্স ২য় বর্ষ থেকেই অনেক বিষয় না হলেও কিছু কিছু বিষয় দিয়ে শুরু করা উচিৎ।
অভিজিৎ ঢালী, সাবেক শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি।